সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিলেও, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এখনও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশেষ সতর্কতা দেখা যাচ্ছে না।
কলকাতা-সহ ভারতের একাধিক শহরে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
ভারতে এখনও পর্যন্ত হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা অন্তত আট। শিশু, বয়স্কদের পাশাপাশি মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিদের শরীরেও ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়ার মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া শ্বাসকষ্ট, গন্ধ না পাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে।
শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস হয়েছে কি না জানার জন্য বায়োফায়ার প্যানেল পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হচ্ছে। দেশের বিশেষ কিছু ল্যাবে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এই পরীক্ষা বেশ খরচসাপেক্ষ। ৩,০০০ টাকা থেকে ৮,০০০ টাকার মতো খরচ করতে হচ্ছে।
ড. লাল প্যাথল্যাবস, টাটা ১এমজি ল্যাবস, ম্যাক্স হেলথকেয়ারের মতো ল্যাবে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস টেস্টের ব্যবস্থা রয়েছে।
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের পাশাপাশি অ্যাডিনো ভাইরাস, করোনাভাইরাস ২২৯ ই, করোনাভাইরাস এইচকিএউ১ পরীক্ষা একসঙ্গে করাতে চাইলে ২০,০০০ টাকা খরচ হতে পারে। একসঙ্গে সব পরীক্ষা করাতে হলে নানা ধরনের নমুনা দিতে হয়।
জ্বর, গন্ধ না পাওয়া, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা তো আছেই, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে অনেক সময় নিউমোনিয়াও দেখা যাচ্ছে।
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে অনেক সময় শ্বাসকষ্টের বেশি সমস্যা, বুকে সংক্রমণের মতো গুরুতর সমস্যা দেখা যাচ্ছে।