সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
কেন্দ্রকে টেক্কা দিল রাজ্য। জিএসটি সংগ্রহ নিয়ে এমনটাই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সমাজমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে এই সাফল্যের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে সকলকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিএসটি সংগ্রহে ১১.৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা জাতীয় হারের চেয়ে দুই শতাংশ বেশি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা জানাতে পেরে খুশি যে পশ্চিমবঙ্গ তার নিজস্ব সম্পদ সংস্থান প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে উন্নতি করছে, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষে সংকলিত আর্থিক ফলাফল থেকে স্পষ্ট।”
বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গ গত বছরের তুলনায় ২০২৪-২৫ সালে ৪,৮০৮ কোটি টাকা জিএসটি সংগ্রহ করেছে। তিনি বলেন, “২৪-২৫ সালে জিএসটি-তে, আমরা আগের বছরের তুলনায় ৪৮০৮ কোটি টাকা বেশি সংগ্রহ করেছি, যা ১১.৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি দেখায়। এটি জাতীয় স্তরের (৯.৪৪ শতাংশ) চেয়ে ২ শতাংশ বেশি এবং এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ আর্থিক শক্তির প্রমাণ”। তবে শুধু জিএসটি সংগ্রহই নয়, রাজ্যে খুশির হাওয়া আবাসন ক্ষেত্রেও। জমির রেজিস্ট্রেশনে থেকে স্ট্যাম্প ডিউটি- গত আর্থিক বছরে উভয়ই বেড়েছে লক্ষ্যনীয়ভাবে। এদিন সেই পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছেন মমতা। আগের আর্থিক বছরের তুলনায় ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে ৬০ হাজার বেশি দলিল রেজিস্ট্রেশন হয়েছে রাজ্যে। এই খাতে স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ সরকারের আয় বেড়েছে ৩১.০৫ শতাংশ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় জোরালো দাবি করে তিনি আরও বলেন, বাংলায় ২০২৪-২৫ সালে নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন এবং স্ট্যাম্প ডিউটিতে ১,৯০৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩১.০৫ শতাংশ উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। তিনি বলেন, “নিবন্ধন এবং স্ট্যাম্প ডিউটিতে, নিবন্ধিত দলিলের সংখ্যা ৬০ হাজার বেড়েছে, যা আমাদের বাজারের গতিশীলতা দেখায়। ২৪-২৫ সালে সংগ্রহ আগের বছরের চেয়ে ১৯০৮ কোটি টাকা বেশি, যা ৩১.০৫ শতাংশ বৃদ্ধি”।
মমতা বলেন, “এই সবকিছু দেখায় যে আমরা আত্মনির্ভরতা এবং আর্থিক শৃঙ্খলাতে বিশ্বাস করি এবং আমাদের প্রশাসন বাংলার জনগণের কল্যাণের জন্য রাজ্যের অর্থকে সুবিন্যস্ত করতে আন্তরিক”। তিনি বলেন, “আমাদের অর্থ বিভাগ এবং আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য প্রত্যেককে অভিনন্দন। আসুন আমরা শক্তিশালী হয়ে অগ্রসর হই!”