শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
“আমি মনে করি যে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বা আড়াল করা হয়েছিল। তবে বিষয়টি আমরা জানি না। এটা একটা অমীমাংসিত বিষয়।” নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে রেড রোডে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদান করে একথা বলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তাঁর দাবি, নেতাজিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বা আড়াল করে দেওয়া হয়েছিল। সরাসরি কংগ্রেসের তৎকালীন নেতাদের নাম না করলেও নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যের পিছনে নেহরুর জড়িত থাকার সম্ভাবনা আরও একবার জাগিয়ে তুললেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তাঁর দাবি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হলে অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন পূরণ হত। এবিষয়ে এদিন শুভেন্দু বলেন যে, “আমি মনে করি যে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বা আড়াল করা হয়েছিল। তবে বিষয়টি আমরা জানি না। এটা একটা অমীমাংসিত বিষয়। তবে তিনি যদি সশরীরে সামনে থাকতেন, তাহলে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হতেন। আর ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তিনি হলে অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন পূরণ হত।”
শুভেন্দুর কথায়, “আজ ভারতকে কিছু সামাজিক ব্যাধি গ্রাস করেছে। যেমন দারিদ্র্য, বেকারত্ব, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি এবং দেশে থেকে দেশের বিরোধিতা করে দেশকে দুর্বল করার প্রয়াস। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু প্রধানমন্ত্রী হলে সেটা কেউ করতে পারতেন না।” তিনি বলেন, “বিজেপি মনে করে যে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুকে ঘিরে যে বিতর্ক রয়েছে, সেই রহস্যের মীমাংসা হওয়া প্রয়োজন। রাজ্য হোক বা কেন্দ্র – এই বিষয়টি সরকারের দেখা উচিত। কারণ এটার সঙ্গে সারা দেশের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে।”
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা বলেন, “একটা বিষয় দেখে খুব ভালো লাগছে, আজ চারিদিকে নেতাজির ছবি দেখা যাচ্ছে, কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুরদুয়ারে। তাই আজকের চারদিকটা খুব মনোরম লাগছে।”
কর্তব্যপথে নেতাজির মূর্তি স্থাপনের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি বলেন, “নেতাজি একটা সময়ে ‘দিল্লি চলো’ স্লোগান তুলেছিলেন। স্বাধীনতার অনেকটা পরেও দিল্লিতে সুভাষচন্দ্র বসুর কোনও চিহ্ন ছিল না। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়াদিল্লির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি স্থাপন করে যে মর্যাদা তাঁকে দিয়েছেন, ভারতের রাজধানীতে এটা বিজেপি তথা বাঙালির কাছে একটা অন্যতম প্রাপ্তি। তবে পরম প্রাপ্তি সেদিনই হবে, যেদিন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার কারণ প্রকাশ্যে আসবে।”