সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
“আসলে উনি নিজেও মনে হয় মদ খান। তাই মদটা ওনার বেশি প্রিয়। কিন্তু লক্ষীর ভান্ডার আমাদের কাছে গর্ব। বাংলায় আমরা লক্ষীর ঝাঁপি হঠাৎ লক্ষীর পুজো করি। আমাদের মা-বোনরা আমাদের কাছে লক্ষ্মী, তাই লক্ষ্মীর ভান্ডার।ও যে দলটা করে তাতে মহিলাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নেই।” এভাবেই এর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যেভাবে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন তার জবাব দিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য ফিরহাদ ?
শনিবার কলকাতা পুরসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নদিয়া জেলায় সীমান্তে একের পর এক বাঙ্কার উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় এই মন্তব্য করেন ফিরহাদ হাকিম । এলবিএস এর কাছে যেতে হবে। এলবিএসএসের না গেলে প্ল্যানটা করবে কি করে? প্রশ্ন মেয়রের। তাদের কাছে গেলে তারা দায়িত্ব নেন। যে কোনো অনৈতিক কাজ বা আনলফুল কাজ হবে না।
এর পাশাপাশি এই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্যের ভান্ডার থেকে শুরু করে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের বিরোধিতা করে বিজেপি যেভাবে মাঠে নেমেছে তা একেবারেই অযৌক্তিক বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে কটাক্ষ করে ফিরহাদের দাবি, লক্ষীর ভান্ডার আমাদের কাছে গর্ব। বাংলায় আমরা লক্ষীর ঝাঁপি হঠাৎ লক্ষীর পুজো করি। আমাদের মা-বোনরা আমাদের কাছে লক্ষ্মী, তাই লক্ষ্মীর ভান্ডার।ও যে দলটা করে তাতে মহিলাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নেই। বিজেপি পায়ের তলায় কেন মাটি পাচ্ছে না এইগুলোকে বলে কেঁচো ক্রিটিসিজম। মনের মধ্যে একটা যেন খিচ রয়েছে একটা অসুবিধা রয়েছে। রাজনীতি হচ্ছে একটা অল্টারনেটিভ দাও। ওরা যেন অতৃপ্ত আত্মার মতো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অল্টারনেটিভ দিয়েছিল আর এরা শুধু ক্রিটিসাইজ করে। বজবজে গুলি কাণ্ড প্রসঙ্গে মেয়রের মন্তব্য,ধরা পড়বে এবং এই দুষ্কৃতী রাজকে শেষ করতে হবে। পুলিশকে বলবো যাতে দুষ্কৃতী রাজ না থাকে। বিরোধিতা থাকবে বিরোধী রাজনৈতিক দল মত থাকবে। কিন্তু দুষ্কৃতী রাজ যেন না থাকে। আমি এটা জানিনা আপনাদের থেকে শুনলাম পরে জেনে বলতে পারব।
অন্যদিকে কদিন আগে ছেলেকে হিন্দু বানানোর নিদান এবং বাড়িতে অস্ত্র রাখার মত দেওয়ায় বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল। সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, ‘ছেলেদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যা বানানোর বানান। কিন্তু আগে ভাল হিন্দু বানান। যে নিজে ধর্মের প্রতি সমর্পিত হবে। আর বাড়িতে একটা করে ধারালো অস্ত্র রাখুন। নিজের ধর্ম-সংস্কৃতি রক্ষা করতে না পারলে ডাক্তার, ব্যারিস্টার যাইহোক, বাস্তবে অন্য কোথাও যেতে হবে তাঁকে। ধর্ম রক্ষায় একজোট হতে হবে। এলাকায় মন্দির তৈরি করুন।’ তারই পাল্টা ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য ছিল, ‘প্রথমে আপনারা ভারতীয় তৈরি করুন। মানুষ তৈরি করুন। এই বার্তা আসা উচিত। আমরা ভারতের মানুষ বিশ্বাস করি সর্ব ধর্ম সমন্বয়।’