সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের বিশ্বজয়ের পরে এবারে স্বাস্থ্য সাথী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যসাথীর গরিমা এবার রাজ্য, দেশের চৌকাঠ পেরিয়ে ছুঁয়ে ফেলল আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্র। ক্যান্সার চিকিৎসা, সুনির্দিষ্টভাবে ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীদের কেমোথেরাপি সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথীর সাফল্য ঠাঁই পেল আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘দি ব্রেস্ট’-এ।
শুধু তাই নয়, ক্যান্সারের মতো মারণ ব্যাধির চিকিৎসায় মানুষের খরচ কমাতে এই প্রকল্পের সার্থকতাকে মান্যতা দিচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সেরা চিকিৎসা সম্মেলন ‘সেন্ট গ্যালন ব্রেস্ট ক্যান্সার কনফারেন্স ২০২৫’।
বাংলায় ক্যান্সার চিকিৎসায় কীভাবে মমতার স্বাস্থ্যসাথী রোগীদের পাশে থেকেছে এবং মাইলফলক স্থাপন করেছে, সেই গবেষণাপত্র পাঠ করতে বাংলার চিকিৎসক ডাক পেয়েছেন অস্ট্রিয়ায় আয়োজিত সেই সম্মেলনে। ১৩ মার্চ বিশ্বের তাবড় চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে তা পাঠ করবার কথা।
বিশিষ্ট অঙ্কোসার্জন ডাঃ সৌমেন দাস সহ ৫ জন চিকিৎসকের সেই সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার খরচ ৭০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। তাই এই প্রকল্পে কেমোথেরাপির ‘ট্রিটমেন্ট কমপ্লিসন রেট’ শুধু বাংলায় নয়, দেশে সর্বোচ্চ। প্রায় ৯২ শতাংশ।

সহজ করে বোঝালে, একবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে কেমো শুরু হলে তা প্রায় শেষ পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন রোগীরা। সেখানে নগদে চিকিৎসা করা রোগীদের গড়ে ৬০ শতাংশ কেমোথেরাপি সম্পূর্ণ হচ্ছে। কোর্স শেষ করছেন না বহু রোগীই।