সুমনা মিশ্র। কলকাতা সারাদিন।
বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় জোড়া মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে। এনআইএ তদন্ত এবং এসটিএসসি অ্যাক্ট অনুযায়ী তদন্তের দাবি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগেও মামলা। মামলা দায়েরের অনুমতি হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি ওম নারায়ণ রাইয়ের। এনআইএ তদন্ত এবং এসটিএসসি অ্যাক্ট অনুযায়ী তদন্ত করতে হবে এই দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের অনুমতি হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি ওম নারায়ণ রাইয়ের। আগামী ১৪ অক্টোবর মামলার শুনানি।
অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর আক্রমণের পরও পুলিশ কোনও রকম এফআইআর নথিভুক্ত করেনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পুলিশ। সেই দাবি জানিয়েও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। মামলা করার অনুমতি চান আইনজীবী ময়ূখ মুখোপাধ্যায়ের। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি ওম নারায়ণ রাই। এই মামলারও শুনানি আগামী ১৪ অক্টোবর হওয়ার সম্ভাবনা।
সোমবার লক্ষ্মীপুজোর দিন জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বাড়াল পুলিশ। ঘটনার প্রায় ৫১ ঘণ্টা পর প্রথম দুই অভিযুক্তকে ধরার পর, বৃহস্পতিবার ভোরে আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দু’জনের নাম শাহানূর আলম এবং তোফায়েল হোসেন ওরফে মিলন। দু’জনেই নাগরাকাটার খয়েরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। এই নিয়ে ওই ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
তবে গ্রেফতার হওয়া প্রথম দু’জন-গোবিন্দ শর্মা এবং একরামুল হকের পর এই দু’জনকে (শাহানূর আলম ও তোফায়েল হোসেন) গ্রেফতার করা হলেও, এফআইআরে নাম থাকা ৮ জনের সঙ্গে ধৃতদের নাম মিলছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও সন্দেহ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এই ধৃতরা এফআইআরে নাম থাকা ৮ জনের কেউ নন। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেছেন, ভিডিওতে অনেককেই দেখা গিয়েছে, পুলিশ তাদের মধ্য থেকেই গ্রেফতার করেছে। এই মামলায় বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।