সুমনা মিশ্র। কলকাতা সারাদিন।
পুলিশ কমিশনার হিসাবে নিজের কাজে খুশি তিনি। তাই ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্ন নেই। চিকিৎসকদের দাবি খারিজ করে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কলকাতার সিপি বিনীত গোয়েল। তবে ওপরতলা থেকে যদি তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় তবে হাসি মুখে সরে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করেন বিনীত গোয়েল। লোহার প্রাচীর সরিয়ে চিকিৎসকদের ২২ জনের প্রতিনিধিদলকে লালবাজারে যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ। এর পর চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা লালবাজারে প্রবেশ করেন। প্রায় ১ ঘণ্টার বৈঠকের পর বেরিয়ে এসে চিকিৎসক আন্দোলনের নেতা অনিকেত মাহাতো বলেন, আপরজি করে গত ৯ – ১০ ও ১৪ অগাস্ট রাতে যা হয়েছে তার দায়ভার নিয়ে আমরা পুলিশ সুপারের পদত্যাগ দাবি করেছি। আমরা গোটা স্মারকলিপি পুলিশ সুপারকে পড়ে শুনিয়েছি। তিনি আমাদের জানিয়েছেন ১৪ অগাস্ট রাতের ঘটনায় তাঁদের গাফিলতি ছিল। কিন্তু বাকি ঘটনাগুলিতে নিজের কাজে খুশি তিনি। তাই ইস্তফা দেবেন না। তবে ঊর্ধ্বতন কোনও ব্যক্তি তাঁকে যদি পদ থেকে অপসারণ করেন তাহলে হাসি মুখে সরে যাবেন।
অনিকেত বলেন, পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে। আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি আমরা পরে ঘোষণা করব।
এছাড়াও চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের সদস্য বলেন, “সিপি স্বীকার করেন ১২ অগস্ট ও ১৪ অগস্টের ঘটনায় পুলিশের ব্যার্থতা রয়েছে। পরবর্তীকালে ৯ তারিখ কর্ডন অফ করার ঘটনা, তথ্য প্রমাণ নষ্ঠ নিয়ে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করি।”
এছাড়াও জুনিয়র ডাক্তাররা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁর পুলিশ কমিশনারকে নীল-সবুজ চাদর বদলে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। তবে সিপি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। এছাড়াও লাল জামা পরিহিত ব্যক্তি ক্রাইম স্পটে কী করছেন তার উত্তরও সিপি দিতে পারেননি।
বিনীত গোয়েল চিকিৎসকদের বলেছেন, “আমি জানি না, চিনি না এদের। কে ডাক্তার আর কে ডাক্তার নয় তা জানি না।” পাল্টা আমরা বলি, “ঘটনার অকুস্থলে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব আপনার ছিল। এই সব নিয়েই আলোচনা হয়েছে।”
আন্দোলনরত পড়ুয়াদের কথায়, “যেহেতু সিপি সদুত্তর দিতে পারেননি, তাই আমাদের আন্দোলন যেমন চলছিল তেমনই চলবে। পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন চলবে। এর মধ্যে তৃতীয় যে দাবি, সিপির পদত্যাগ ! সেই দাবিও চলবে।”