রাহুল সিংহ মজুমদার। কলকাতা সারাদিন।
আর জি করে তরুণী চিকিত্সকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। প্রায় ১ মাসেরও বেশি সময় কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা। স্রেফ মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধই নয়, জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টও। সময়সীমা ছিল, আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টা। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কাজে যোগ দিলেন না জুনিয়র ডাক্তাররা।
এদিন চিকিৎসকদের কাজে ফেরা ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুবিচারের দাবি নিয়েও মুখ খুললেন অভিনেত্রী ইশা সাহা (Isha Saha)।
মঙ্গলবার দুর্গাপুরে একটি প্রখ্যাত স্বর্ণ বিপনিতে এসে টলিউডের অভিনেত্রী ইশা সাহা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হন। আর জি কর হাসপাতালের তিলোত্তমার নারকীয় ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বললেন, “এবার পুজোর সেই উৎসাহ উধাও কলকাতায়। সকল রাজ্যবাসী এখন আর জি করের ঘটনার জন্য সুবিচারের দাবিতে সোচ্চার। সবাই একেবারে মনমরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে ফিরুন দ্রুত এবং আমজনতা দুর্গাপুজোর আয়োজনে ফিরে আসুন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে উনি জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আবেদন করে ঠিকই করেছেন। তিনি সুবিচারের যে দাবি তুলেছেন, সাধারণ মানুষ তা নিয়েও কিছু বলুন”।
দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে চারিদিকেই আর জি করের মহিলা চিকিৎসক তিলোত্তমার নারকীয় হত্যাকান্ডের সুবিচারের জোরাল দাবি। তার সঙ্গেই রাজনৈতিক তরজা। মিটিং, মিছিলময় গোটা রাজ্য। এরই মাঝে অভিনেত্রী ইশা সাহা বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কারণ সুপ্রিম কোর্টে এই ঘটনার আসল মামলা শুনানি হবে না। তা হবে লোয়ার কোর্টে। তাই আমার নজর আছে সেদিকেই’।
আসন্ন দুর্গোৎসব নিয়ে বলতে গিয়ে বাংলার এই অভিনেত্রী বলেন,’এবার পুজোর কোনও গন্ধ নেই কলকাতাতে। সবাই অত্যন্ত বিষন্ন। এই ঘটনায় মন খারাপ সবার’। এই ঘটনা নিয়ে যে রাজনীতি চলছে তা নিয়ে ঈষা সাহা বলেন ,’বাঙালির রক্তে রাজনীতি। সুতরাং সবকিছুতেই যে রাজনীতি মিশে যাবে এটাই স্বাভাবিক’।