শৌনক মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
গাড়ির দুনিয়ায় প্রভাব-প্রতিপত্তি রয়েছে যথেষ্ট। পালসারের মতো পারফর্ম্যান্স মোটর সাইকেল এনে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন দু’চাকার জগতে। সেই বজাজ অটোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব বজাজের দাবি, ইলেক্ট্রিক মোটর সাইকেলের চেয়ে ইলেকট্রিক স্কুটারের সম্ভাবনা অনেক বেশি।
দেশীয় বাজারে ইলেকট্রিক মোটর সাইকেল তৈরিতে নিযুক্ত যে সব সংস্থা, তাদের দাবি-দাওয়া নস্যাৎ করে দিয়েছেন তিনি। এমনকি ইলেকট্রিক মোটর সাইকেল নির্মাণকারী সংস্থাগুলির বিক্রির রেকর্ড, যেখানে পারফরম্যান্সের চেয়ে সাধারণত বৃহত্তর চাহিদাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, তারও সমালোচনা করেছেন।
ইলেকট্রিক মোটর সাইকেল নির্মাণকারী সংস্থা আলট্রাভায়োলেট-কে নিশানা করেই রাজীব ওই মন্তব্য করেন বলে ধরা হয়। তাই চুপ করে থাকেনি আলট্রাভায়োলেটও। সংস্থার সিইও নারায়ণ সুব্রহ্মণ্যম পাল্টা আক্রমণ শানান। একটি সাক্ষাৎকারে পরিষ্কার বলেন, “শুধুমাত্র ভ্যালু ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য পরিচিত হব না আমরা।”
শুধু পাল্টা জবাব দিয়েই থামেননি নারায়ণ। অটো ইন্ডাস্ট্রিকে চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন তিনি। সমস্ত গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থাগুলির উদ্দেশে বার্তা দেন যে, পারফরম্যান্স মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সামনে মাথানত না করে, এই প্রতিযোগিতার দুনিয়ায় সঠিক জায়গায় নিজেদের শক্তি প্রমাণ করতে হবে।
আগামী ৯০ দিনে মুখোমুখি লড়াইয়ের জন্য প্রতিযোগীদের পুণেতে আহ্বান জানিয়েছে আলট্রাভায়োলেট, যা কি না ভারতীয় অটো ইন্ডাস্ট্রির প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গন্য। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কার কত শক্তি, সেখানে প্রমাণ করতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
নারায়ণের এই চ্যালেঞ্জে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে। বজাজ বনাম আলট্রাভায়োলেটের এই দ্বন্দ্বকে অনেকে ডেভিড বনাম গোলিয়াথের কাহিনির সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছেন। শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।