সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
বাংলাকে ক্লাসিকাল ভাষার মর্যাদা দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হল। বাংলার সঙ্গেই মারাঠি, পালি, প্রাকৃত, অসমিয়াকেও ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বাংলার গর্বের দিন আজ।
এর আগে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী এনিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন।
তিনি মোদীকে লেখা সেই চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন, আমরা এনিয়ে গবেষণা করেছি। একাধিক বৈজ্ঞানিক তথ্য আমরা সংগ্রহ করেছি। সেখানে দেখা গিয়েছে বাংলা ভাষা প্রায় ২.৫ হাজার বছরের পুরনো। তিনি আরও লিখেছিলেন, এই ভাষা ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য।
তিনি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। কিন্তু বাংলা ভাষাকে সেই মর্যাদা দেয়নি। আড়াই হাজার বছরটা একটা রসিকতার বিষয় নয়।
এদিকে এর আগে তামিল, সংস্কৃত, তেলেগু, কন্নড়, মালায়লাম, ওড়িয়া ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। এদিকে এতদিন কেন বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হচ্ছিল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা।
এদিকে কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় লিখেছেন, আমি অত্যন্ত খুশি বেঙ্গলি বা বাংলা ভাষাকে ক্লাসিকাল ভাষার মর্যাদা দিয়েছে ভারত সরকার। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে এই মর্যাদা আদায়ের জন্য চেষ্টা করছিলাম। আমাদের দাবির ভিত্তিতে আমরা তিন ভলিউম গবেষণাপত্র জমা দিয়েছিলাম। তবে কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের সেই গবেষণাকে মেনে নিয়েছে।
বাস্তবিকই এই খবরে খুশি অনেকেই। মূলত বাংলা যাঁদের মাতৃভাষা তাঁদের খুশি হওয়ারই কথা।
এই বাংলা ভাষা অনেকের কাছেই বেশ মধুর। এই বাংলা ভাষার নানা দিক সম্পর্কে জেনে নিন।
১) ভারতের জাতীয় সঙ্গীত প্রথম বাংলা ভাষায় লেখা হয়
মূলত বাংলায় রচিত ভারতীয় জাতীয় সঙ্গীত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি কবিতার পাঁচটি স্তবকের মধ্যে প্রথম স্তবকটি হল জাতীয় সংগীত। যা পরে স্বরলিপিতে সেট করা হয়েছে। এই ভাষার সম্মান রক্ষার জন্য মানুষ নিজেদের জীবনও উৎসর্গ করেছেন।
বাংলা বিশ্বের ষষ্ঠ সর্বাধিক প্রচলিত কথ্য ভাষা। বাংলা বিশ্বের ষষ্ঠ সর্বাধিক কথ্য ভাষা হিসাবে বিবেচিত। সব মিলিয়ে সারা বিশ্ব জুড়ে প্রায় ২০ কোটি মানুষ বাংলায় কথা বলেন। সেই বাংলা ভাষাকে এবার ক্লাসিকাল ভাষার মর্যাদা দেওয়া হল। এই ঘটনায় খুশির হাওয়া বাংলা জুড়ে।