বিজয় চন্দ্র দাস। নেত্রকোনা। বাংলাদেশ।
দীর্ঘদিন ধরে পৌর শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কারের অভাবে ঝুঁকির মুখে মগড়ার নদীর তীরের বেশ কযে়কটি দোকান ও বাসাবাডি়। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিযে়ই এ বাঁধের ওপর দিযে় চলাচল করছে পথচারীসহ বিভিন্ন ধরনের পরিবহন। দ্রুত সংস্কার করা না হলে এ বাঁধসহ দোকানপাট ও বসতবাডি়গুলো তলিয়ে যাবে মগড়া নদীর অতল গহ্বরে।
গত দুই বছর ধরে টানা বর্ষণে ও ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যায় তীব্র স্রোতে ভাঙ্গনের কবলে পডে়ছে এ পৌর শহর রক্ষা বাঁধটি। অস্থায়ীভাবে বালুভর্তি প্লাস্টিকের বস্তা ফেলে বাঁধটি ভাঙ্গনের হাত থেকে সামযি়ক রক্ষা করা হলে ও আজ পর্যন্ত স্থায়ী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।সড়কসহ নদীর তীরের ্র্যালিং ভেঙ্গে গিযে়ছিল নদীর স্রোতের টানে। দেখার কেউ নেই বলে বাঁধটি ভাঙ্গনের ঝুঁকির মুখেই পডে় আছে দুই বছর ধরে।
শুধু তাই নয় সাতপাই কালিবাড়ী মোড় থেকে আনন্দবাজার মোড় পর্যন্ত সড়কটি খানাখন্দে ভরা।সরু এ সড়কে বিভিন্ন ধরনের পরিবহন যাত্রী ও মালামাল নিযে় ঝুঁকি নিযে় নিয়মিত চলাচল করছে।যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা। ভাঙ্গা ও সরু বলে ক্রসিং করতে গিযে় প্রায়ই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। ভোগান্তিতে পডে়ছেন যাত্রীরা।
একদিকে ঝুঁকিপূর্ণ পৌর শহর রক্ষা বাঁধ অপরদিকে সরু ভাঙ্গা সড়কে চলাচলে ভোগান্তিতে পডে়ছেন এলাকাবাসী। আন্দোলনের পর থেকে পৌর মেয়র পৌরসভায় অনুপস্থিত থাকার কারণে এর কোন প্রকার স্থায়ী সমাধানের পরামর্শ ও দিতে পারছেন না কেউ। ফলে ঝুঁকি নিযে় চলাচল ও দুশ্চিন্তা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই এলাকাবাসীর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাতপাই দুই নম্বর ওয়ার্ডের কযে়কজন বাসিন্দা জানান, দাযি়ত্ব নেয়া নেতৃবৃন্দ ও কর্মকর্তা অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংস্কার নিযে় ব্যস্ত। শহরের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে পরিবেশ রক্ষা ,সড়ক ও বাঁধ সংস্কারে কারো এখন আর নজর নেই। এলাকাবাসীর এ ভোগান্তির শেষ কবে হবে কেউ বলতে পারে না।
মগড়া নদীর তীরের বাসিন্দা ফজলুর রহমান বলেছেন, এভাবে সংস্কার ছাড়া চলতে থাকলে নদী রক্ষা বাঁধ আরো ঝুঁকিতে পড়বে। তখন লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ও বাঁধের পাশের দোকান পাট ও বাসাবাডি় রক্ষা করা সম্ভব হবে না।এ কারণে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধটি স্থায়ীভাবে সংস্কারের জন্য দাবি জানাচ্ছি। দাবি জানাচ্ছি কালিবাড়ী মোড় থেকে আনন্দবাজার মোড় পর্যন্ত খানাখন্দে ভরা সড়কটি সংস্কার করে যাত্রীদের দুর্ভোগ দূর করার জন্য।
জানতে চাইলে প্যানেল মেয়র এসব এমন মহসিন আলম জানান, দীর্ঘদিন পুর্বে নির্মিত শহর রক্ষা বাঁধ অকেজো হযে় পডে়ছে। তাছাড়া এটি সংস্কারের তেমন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তবে পৌরসভা বালুভর্তি বস্তা ফেলে বাঁধটি ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করেছে। জেলা প্রশাসন ও জডি়ত এর উন্নয়নের সাথে। জরুরী মূহুর্তে ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সারোয়ার জাহান বলেছেন, বাঁধটি ভাঙ্গনের কবলে পড়লে পৌরসভার পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করেছে। আবারো বরাদ্দ এলে দ্রুত কাজ করা হবে। এক্ষেত্রে পানি উন্নয়ন বোর্ড আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাবে।