শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
ওপার বাংলায় দলে দলে জড়ো হয়েছেন হিন্দুরা। সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে এপার বাংলায় বসে উল্লসিত বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা তিনি। বার বার সনাতনীদের পক্ষে ব্যাট ধরেছেন তিনি। এবার বাংলাদেশের একটি ভিডিয়োকে সামনে এনেছেন তিনি।
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে রুখে দাঁড়ানো ছাড়া বিকল্প কোনো রাস্তা নেই…সেটাই শুক্রবার দেখিয়ে দিল বাংলাদেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘু হিন্দুরা । ইসলামি উগ্রপন্থীদের দ্বারা প্রতিনিয়ত অত্যাচারিত হতে হতে হিন্দুরা নিজেদের মধ্যে জাতপাতের বিভেদ ভুলে রুখে দাঁড়ালো।
আট দফা দাবিতে চট্টগ্রামের লালদিঘির স্কুল মাঠে প্রায় দুই লক্ষ হিন্দুর জমায়েত হয় । প্রচুর সাধু সন্ন্যাসীদেরও মঞ্চে দেখা যায় । বক্তারা এই সঙ্কটকালে হিন্দুদের জাতপাত ভুলে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান । চিন্ময় কৃষ্ণদাস প্রভু বলেছেন, ‘আমাদের নিয়ে আর খেলতে দেবো না, দাবি না মানলে লংমার্চ টু ঢাকা!’
এদিকে বাংলাদেশের নির্যাতিত হিন্দুদের আহ্বান জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন । চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানের ঐতিহাসিক মহাসমাবেশের ভিডিও শেয়ার করে তিনি এক্স-এ লিখেছেন,’বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সনাতনী সম্প্রদায়ের উপর আধিপত্য বিস্তার ও নিপীড়নের চলমান প্রচেষ্টার মধ্যে, হিন্দুরা আজ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম (চট্টগ্রাম) শহরের ঐতিহাসিক লাল দীঘিতে সমবেত হয়েছে।আমি সীমান্তের ওপারের আমার সনাতনী বোন ও ভাইদের আশ্বস্ত করতে চাই, এই সংকটের সময়ে আমরা আপনাদের পাশে আছি। প্রকৃতপক্ষে, সারা বিশ্বের সমগ্র সনাতন সম্প্রদায় আপনার সাথে আছে। শুধু ধরে থাকুন, ঐক্যবদ্ধ থাকুন এবং শক্ত থাকুন ।’
সেই ভিডিয়োতে সম্ভবত ড্রোন থেকে তোলা একটি ভিডিয়ো দেখানো হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছেন। গেরুয়া পরিহিত সাধুর দলও সেখানে রয়েছেন। ঢাকার লাল দিঘি চত্বর একেবারে কানায় কানায় পূর্ণ। হাজার হাজার মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছেন। সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে কার্যত উল্লাস প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের সনাতনীদের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন।
সেই ভিডিয়োর জবাবে অনেকেই নানা কথা লিখেছেন। একজন লিখেছেন, হিন্দুদের মনে রাখা দরকার। আপনার শক্তি হল আপনাদের একতা। গোটা হিন্দু সমাজের উচিত এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।
অপর একজন লিখেছেন, আপনাদের সংহতিটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সনাতনী সমাজকে একতাবদ্ধ রাখতে এটা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অপর একজন লিখেছেন, ভারত সরকার এই সংগ্রামের দিকে নজর দিন। অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।