সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
“আমরা অনেক কাজ করেছি আদিবাসীদের জন্য। কেন্দ্র একটাও টাকা দেয় না। যেরকম যা পারছি আমরা তা করে দেবো।” আদিবাসী ও উপজাতি উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বনাঞ্চল থেকে হাতি বেরিয়ে আসায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদিবাসী ও উপজাতি পর্ষদের বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ওড়িশা থেকে রাস্তা কেটে দেওয়া হচ্ছে, বাংলায় হাতি ঢুকছে। কেন্দ্র যেটা বলবে আমরা সেটা করে দেব।’ বৈঠকে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত থেকে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা হাতি বনাঞ্চল থেকে শহর অঞ্চলে প্রবেশ করছে সেই প্রসঙ্গ তোলেন।
আদিবাসীদের নিয়োগের ব্যাপারটা একটু দেখে নিতে হবে। পুলিশের হোম গার্ডে নিয়োগের ব্যাপারটা দেখে নিতে হবে। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। বৈঠকের প্রথম কুড়ি মিনিট আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত কী কী করেছেন তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্র টাকা না দিলেও রাজ্যের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোন কোন প্রকল্প করা হয়েছে, কত টাকা খরচ করা হয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ঝাড়গ্রাম ও কালিম্পং-এ আদিবাসী ভবন হবে।
অন্যদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় নবান্ন সভা ঘরের সামনে হঠাৎ হইচই পরে যায় পুলিশ মহলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে নবান্নের সভা ঘরের কক্ষে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন এক ব্যক্তি। বেশ কিছুক্ষণ নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে তর্ক – বিতর্ক হয় তার। শেষ পর্যন্ত হাওড়া জেলার শিবপুর থানার পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্য সচিবালয় নবান্নে এক যুবক হঠাৎ হাজির হন। মুখ্যমন্ত্রীর(CM) সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করে সভা ঘরের সামনে চলে যান। জেদ করতে থাকেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেনই।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে আগাম বৈধ অনুমতি নিতে হয়। তা তার কাছে ছিল না। পুলিশ জেরা করে জানতে পারে ওই যুবকের নাম শেখ সমীরুল। বয়স ৩৫ বছর। থাকেন হাওড়া জেলার বাঁকড়া এলাকায়। তুমি ব্যক্তিগত সমস্যায় পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। বেশ কিছুক্ষণ নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে তর্ক বিতর্ক হওয়ার পর তাকে শিবপুর থানার অফিসাররা এসে থানায় নিয়ে যায়। ওই একটু জানান তিনি কাপড়ের ব্যবসায়ী। লক ডাউনের সময় থেকে তার ব্যবসায় মন্দা শুরু হয়। তারপর থেকে সে আর লাভের মুখ দেখেনি। তার আর্থিক মন্দার জন্য তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। তার সাংসারিক জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। এসব নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে যান।ওই ব্যক্তির হাতে বেশ কিছু কাগজপত্র ছিল। ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানায় সে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে টাকা চাইতে এসেছে আবার ব্যবসা করবে বলে।
শিবপুর থানার পুলিশ অফিসাররা বুঝতে পারেন যে ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই তাকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ অফিসাররা ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে বোঝেন যে সে মানসিক অবসাদে ভুগছে। এরপরই শিবপুর থানার অফিসাররা ওই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যায়। কারণ তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে।