সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
রাজ্যসভায় জহর সরকারের ছেড়ে আসা আসনে তাঁকে প্রার্থী হিসেবে আগেই ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাজ্য বিধানসভায় এসে রাজ্য সভার উপনির্বাচনে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ ও রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, নির্মল ঘোষ সহ অন্যান্যরা।
ঋতব্রত একসময়ে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের নেতা থেকে এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁকে রাজ্যসভাতেও পাঠিয়েছিল সিপিএম। কিন্তু এর পর কয়েকটি বিতর্কিত ঘটনার জন্য ২০১৭ সালে তাঁকে সিপিএম দল থেকে বহিষ্কার করে। বেশ কিছু দিন দলহীন রাজনীতির পর তিনি অবশেষে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০২১ সালের ভোটের পর শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি করা হয় ঋতব্রতকে। সেই কাজই এতদিন সামলাচ্ছিলেন তিনি। এবার তাঁর কাঁধে নতুন দায়িত্ব আসতে চলেছে।
অন্যদিকে, আরজি কর-কাণ্ডের জেরে রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জহর সরকার।
সেই আসন এতদিন ফাঁকা ছিল। তবে সাংসদ হিসাবে আরও ১৫ মাসের মেয়াদ বাকি ছিল জহরের। এবার সংসদের উচ্চকক্ষে সেই শূণ্য আসনের জন্যে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে রাজ্যের তৃণমূল সরকার।