কনিষ্ক সামন্ত। কলকাতা সারাদিন।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের এক পান আড়তদারের প্রাসাদপ্রমাণ ৩ তালা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস যোজনার তালিকায় নামকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো। তমলুকের গণপতি নগরের এই পান ব্যবসায়ীর নাম অভিজিৎ মন্ডল।
সুপার চেকিং এ ওই আবাস উপভোক্তার বাড়ি দেখে চমকে যান স্বয়ং পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক। তারপরেই তমলুকের বিডিওকে ওই উপভোক্তার নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক।
জানা গেছে তমলুকের জেলাশাসক অফিস থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে উত্তর সোনামুই পঞ্চায়েতের গণপতি নগরে বাড়ি অভিজিৎ মন্ডলের। পেশায় তিনি পানের আড়ৎদার। ২০১৮ সালে সার্ভের ভিত্তিতে অভিজিৎ বাবুর নাম আবাস তালিকায় যুক্ত হয়। শুধু তালিকায় থাকা নয় তার প্রায়োরিটি লিস্টে তার নাম ছিল। সুপার চেকিং এ গিয়ে জেলার দুই শীর্ষ অফিসারের চক্ষু চড়ক গাছ।
অভিজিৎ মন্ডলের স্ত্রী এবং পুত্রবধূ জানান ২০১৮ সালে তাদের অবস্থা এখনকার মত ছিল না। তারা কুড়ে ঘরে বাস করতেন। তাই জন্য তারা আবাস যোজনার বাড়ির জন্য আবেদন করেছিলেন। ছ – বছরে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তারা পাকা বাড়ি বানাতে পেরেছেন, তারপরেই গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে কর্মীরা এলে তাদেরকে বাড়ির প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়েছিল। আর এখানেই রাজনীতি শুরু দাবি তৃণমূলের।
তৃণমূলের তমলুক সংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মাইতি জানান ওই পান ব্যবসায়ী তৃণমূল কর্মী। এবং উত্তর সোনামুই বর্তমানে বিজেপির দখলে। অভিজিৎ মন্ডল এবং তার পরিবার পঞ্চায়েত কর্মীদের বাড়ি প্রয়োজন নেই জানানোর পরেও তারা নাম কাটেননি। বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে তৃণমূলকে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রমাণ করার জন্য এমন নোংরা খেলে নেমেছে বলে দাবি করছে তৃণমূল।