ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাসে এবার অভিযোগ উঠলো র্যাগিং এর। হোস্টেল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন । দুই দফায় আন্টি র্যাগিং কমিটি বৈঠক ডেকে ১০ জন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্বাস্থ্য ভবন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সুস্মিতা ভট্টাচার্য বলেন এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
র্যাগিং এর ঘটনাটি ঘটে গত ১৫ ই নভেম্বর ভোর রাতে ছাত্রাবাসের ১০৮ নম্বর ঘরে। অভিযুক্তরা নতুন ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।সকলেই ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে ওই দিন ঘুন থেকে তুলে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের ১০৮ নম্বর ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়।এর পর ঘরের আলো নিভিয়ে শুরু হয় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। নিগ্রহকারীরা জানিয়ে দেয় তারা সিনিয়র তাই তাদেরকে স্যার সম্বোধন করতে হবে।
ওই দিন প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের দুই ঘন্টা ধরে নির্যাতন চালানো হয় । তবে সিনিয়র দের হুমকির ভয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা কাউকে কোন কিছুই জানানোর সাহস পায় নি।তবে এক ছাত্র তার অভিভাবককে বিষয়টি জানায়। ওই বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষের নজরে আনে। প্রথম বর্ষে কয়েকজন ছাত্র ইমেইল মারফত অধ্যক্ষকে বিষয়টি জানায়। মঙ্গলবার ও বুধবার অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠক ডাকেন কলেজের অধ্যক্ষ।
অভিযুক্তরা ঘটনার দিন ১০৮ নম্বর ঘরে গিয়েছিল কিনা তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরার ফোটেই দেখা হয়। সেখানে দেখা যায় যে অভিযুক্ত ১০ জন পড়ুয়া সেই দিন ওই ঘরে গিয়েছিল।এরপর নিগৃহীত ছাত্রদের সাথে এবং তাদের অভিভাবকদের সাথে কলেজ কর্তৃপক্ষ কথা বলেন।
জানা গেছে অভিযুক্ত কয়েকজন পড়ুয়া র্যাঙ্গিং এর কথা স্বীকার করেছেন, তাদের অভিভাবকদের জানানো হয়েছে।ভবিষ্যতের কথা ভেবে আপাতত পুলিশে অভিযোগ করা হচ্ছে না।অভিযুক্ত ছাত্রদের হোস্টেল ছাড়তে হবে।
বৃহস্পতিবার কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ওই ১০ জন সিনিয়র পড়ুয়া কে আগামী তিন মাসের জন্য হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হবে। মাত্র দুই বছর আগে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ টি চালু হয়েছে। তাই ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাসে র্যাগিং এর ঘটনা ঘাটায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।