কনিষ্ক সামন্ত। কলকাতা সারাদিন।
জননেত্রী তিনি। মিশে যেতে ভালবাসেন জনসাধারণের মাঝে। ছুটে যান, পাশে দাঁড়াল তাদের বিপদে-আপদে-বিড়ম্বনায়। এককথায় কাজের মানুষ, কাছের মানুষ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি তমলুক কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনের দিন রাতের অন্ধকারে বিজেপির দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হতে হয়েছিল তৃণমূলের কর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডলকে।
ভাইকে রক্ষা করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি গুরুপদ মণ্ডলও। এরপর মমতার নির্দেশে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে আসেন তৃণমূল নেতারা। এবার নিহতের স্ত্রী ও আহত দাদাকে চাকরি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বুধবার তাঁরা চাকরির নিয়োগপত্র পান। নিহত বিষ্ণুপদ মণ্ডলের স্ত্রী সুস্মিতা মণ্ডলকে অ্যাটেনডেন্ট পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে। গুরুপদ মণ্ডলকেও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। দুজনেই নন্দীগ্রাম-১ ব্লক অফিসে চাকরিতে নিযুক্ত হলেন তাঁরা।
নিহত বিষ্ণুপদর স্ত্রী সুস্মিতা জানান, “বিজেপির গুন্ডারা আমার স্বামীকে নৃশংসভাবে খুন করল। বাড়িতে ছোট সন্তান রয়েছে। কীভাবে সংসার চালাব ভেবে পাচ্ছিলাম না। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়ালেন, তাতে আমরা চিরকৃতজ্ঞ।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, “এটাই আমাদের মানবিক সরকার। মুখ্যমন্ত্রী নিহত বিষ্ণুপদের পরিবার ও আহত গুরুপদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
সেই মতো আজ তাঁরা চাকরিতে যোগ দিলেন।” জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি সব সময় প্রতিহিংসার রাজনীতি করে। কিন্তু আমাদের মা মাটি মানুষের সরকার সব সময় মানুষের মনের কথা ভাবে। তাই এভাবেই বারবার অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ান মানবিক মুখ্যমন্ত্রী।” প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, তমলুক কৃষি সমবায় নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে হেরেছে বিজেপি। সেই হারের প্রতিশোধ নিতে রাতের অন্ধকারে তাণ্ডব চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। খুন হন বিষ্ণুপদ। আহত হন গুরুপদ। এমন পরিস্থিতিতে নিহত ও আহতের পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্য।