সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
সিনেমার শুটিং করার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমোদন নিয়েছিলেন? কত টাকা স্টাইপেন্ড পান, আশি শতাংশ উপস্থিতি কি রয়েছে কিঞ্জলের? এমন একগুচ্ছ প্রশ্নের উত্তর চেয়ে আরজিকর আন্দোলনের মুখ জুনিয়র ডাক্তার জবাবদিহি তলব করল মেডিকেল কাউন্সিল।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি বেশ কিছু লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে যে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ রাজ্য সরকারের কোনরকম অনুমতি ছাড়াই নন প্র্যাকটিসিং এলাউন্স রাজ্যকোষাগার থেকে তোলার পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে রোগী দের চিকিৎসা না করে মোটা টাকার লোভে একের পর এক বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমে রোগী দেখে চলেছেন। এই একইণ্ড অভিযোগ আরো বেশি করে উঠে আসে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায়।
সূত্রের খবর তিনি সিনেমা করছেন বা বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করছেন। মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজেকে দেওয়া চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে সিনেমা বা বিজ্ঞাপনে কাজ করার জন্য কিঞ্জল কোনও অনুমতি নিয়েছেন কিনা। পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি হিসেবে থ্য আশি শতাংশ উপস্থিতিতি বাধ্যতামূলক। সেই উপস্থিতি তাঁর রয়েছে কিনা। গত কয়েক মাসে তাঁর ভাতা বাবদ কত টাকা নিয়েছেন কিঞ্জল? ওইসব প্রশ্নের উত্তর আগামী ৭ দিনের মধ্যে আরজি করের অধ্যক্ষকে দিতে হবে।্কিঞ্জল নন্দের সম্পর্কে আটটি প্রশ্নের উত্তর চেয়ে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজকে চিঠি পাঠাল ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল।
আরজি করের পিজিটি কিঞ্জল নন্দ। তাঁর সম্পর্কে আট প্রশ্নের তথ্য চেয়ে আরজি করের অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল। কিঞ্জল সম্পর্কে যেসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, পিজিটি হিসাবে কত টাকা ভাতা পান কিঞ্জল? সিনেমা, বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের জন্য কর্তৃপক্ষের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নেওয়া হয়েছিল কি না? শুটিংয়ের জন্য কোনও ছুটির আবেদন করা হয়েছিল কি না? কীভাবে শুটিংয়ের জন্য সময় পেলেন কিঞ্জল? কোন কোন তারিখে শুটিংয়ের জন্য ছুটি নিয়েছেন? কর্মক্ষেত্রে কিঞ্জলের ৮০ শতাংশ হাজিরা আছে কি না?
মেডিক্যাল কাউন্সিলের এই পদক্ষেপে ভুল কিছু দেখছেন না তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “এতে আপত্তির কী আছে। এটা প্রশাসনিক বিষয়। জুনিয়রদের একাংশই বলছে, অনেকের কোনও ক্ষেত্রে যতটা উপস্থিতি থাকা দরকার, তা থাকছে না। সেটাই খতিয়ে দেখছে মেডিক্যাল কাউন্সিল। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। কোনও প্রতিহিংসা নেই। নিয়ম না ভাঙলে আপত্তির কী আছে?”