শৌনক মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
প্রচলিত পুরনো কর কাঠামো কী ধীরে ধীরে তুলে দেওয়া হবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে করদাতাদের মনে। ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট। শোনা যাচ্ছে, এবারের বাজেটে ডায়রেক্ট ট্যাক্স কোড বা ডিটিসি-এর ঘোষণা করতে পারেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
অধিকাংশ করদাতাদের অনুমান, ডায়রেক্ট ট্যাক্স কোড লাগু হওয়ার পর পুরনো কর ব্যবস্থা ধীরে ধীরে তুলে দেওয়া হতে পারে।
তবে এখনও পর্যন্ত এই সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা হয়নি। মুখ খোলেননি সরকারি আধিকারিকরাও।
বর্তমানে দুটি কর ব্যবস্থা লাগু রয়েছে। পুরনো কর কাঠামো এবং নতুন কর কাঠামো। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৭২ শতাংশ করদাতাই নতুন কর কাঠামো বেছে নিয়েছেন। তবে পুরনো কর কাঠামোয় এখনও স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের পাশাপাশি ধারা ৮০সি এবং ধারা ৮০ডি-এর আওতাতেও ছাড় পাওয়া যায়।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন https://kolkatasaradin.com/
যে সমস্ত করদাতাদের বার্ষিক আয় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার মধ্যে, তাঁদের জন্য পুরনো কর ব্যবস্থা লাভজনক। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন এবং বিভন্ন ধারায় ছাড় মিলিয়ে তাঁদের করযোগ্য আয় ‘শূন্য’ হয়ে যায়। সোজা কথায়, এক পয়সাও কর দিতে হয় না। নতুন কর কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুবিধা পাওয়া যায়। তবে আর কোনও ছাড় মেলে না। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা তাই বলেন, মধ্যবিত্ত করদাতাদের জন্য পুরনো কর কাঠামোই লাভজনক।
ডায়রেক্ট ট্যাক্স কোড লাগু হলে ৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ের করদাতারা উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আয়কর রিটার্ন দাখিল করার প্রক্রিয়াও অনেক সহজ হয়ে যাবে।
এবারের বাজেট থেকে অনেক আশা রয়েছে করদাতাদের। একাধিক বিকল্পের পাশাপাশি ট্যাক্স ছাড় নিয়েও আশায় বুক বাঁধছেন তাঁরা। তবে এখনই পুরনো কর কাঠামো তুলে দেওয়ার পক্ষপাতী নন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এর ফলে মধ্যবিত্ত করদাতাদের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে। তাঁরা কর সাশ্রয়ের অনেক সুযোগ হারাবেন।
আয়কর আইনের অপ্রাসঙ্গিক ধারাগুলো তুলে দেওয়াই ডায়রেক্ট ট্যাক্স কোড বা ডিটিসি আনার মূল উদ্দেশ্য। এতে নিয়মকানুন আরও সহজ হবে। সাধারণ করদাতারাও সহজে বুঝতে পারবেন। কর বিশেষজ্ঞরাও এমনটাই মনে করেন। তাঁদের মতে, ডিটিসি লাগু হলে কর সংক্রান্ত আইন আগের তুলনায় সহজ হবে। আইনি জটিলতাও কমবে।
করদাতাদের জন্য পুরো প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে।