সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
কার অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন, তার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া কোন নিয়ম হতে পারে না। নিঃশর্তে দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে প্রয়োজনের মুহূর্তে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে শুরু করেছি সেবাশ্রয় শিবির। আজ এভাবেই নিজের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মেটিয়াব্রুজে সেবাশ্রয় শিবিরে দাঁড়িয়ে দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
“ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবা দীর্ঘদিন ধরেই চ্যালেঞ্জের সম্মূখীন। গ্রামে-শহরে এই পরিষেবায় বিভাজন স্পষ্ট। অতিরিক্ত খরচ, অপর্যাপ্ত পরিকাঠামো এবং কর্মীর অভাব। কয়েক দশক ধরে এই সমস্যা চলছে।” এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন বছরের শুরুতেই অভিষেকের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে ‘সেবাশ্রয়’ স্বাস্থ্য শিবির। শিশু থেকে প্রবীণ চিকিৎসা পাচ্ছেন সকলেই। অভিষেক এও লিখেছেন, “এখন আমরা প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং উদ্ভাবনী পরিষেবার মাধ্যমে একটি যুগের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। সেবাশ্রয় হল এই পরিবর্তনের পথ একটি প্রয়াস। কেন্দ্রের এই অচল স্বাস্থ্য পরিষেবার মধ্যে একটি বাতিস্তম্ভ। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উপভোক্তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।” এই উদ্যোগটিকে রোগী-কেন্দ্রিক পদ্ধতি বলে বর্ণনা করছেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর কথায়, এর মাধ্যমে রোগীদের কাছে দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর তাঁরা।
ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মেটিয়া ব্রুজ বিধানসভার একটি মডেল সেবাশ্রয় শিবিরে দাঁড়িয়ে আজ অভিষেক জানান, এখনো পর্যন্ত 5 লক্ষ 47 হাজার 970 জন সেবাশ্রয় শিবিরে চিকিৎসার সুবিধা পেয়েছেন। শুধুমাত্র আজকের একদিনে মেটিয়াবুরুজের ৩৪ সেবাশ্রয় শিবির থেকে পরিষেবা পেয়েছেন ৯৪৩৩জন।