রাহুল সিংহ মজুমদার। কলকাতা সারাদিন।
নয়া ইতিহাসের মুখোমুখি ভারতীয় রেল (Indian Rail)। বিশেষ করে হাওড়া থেকে নয়া দিল্লি যে সমস্ত যাত্রী যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাঁদের জন্য সুখবর। চলতি বছরেই হাওড়া-নয়া দিল্লি রুটে রাজধানী (Rajdhani), শতাব্দী এবং বন্দ ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Express Train) মতো ট্রেনগুলি ছুটবে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ কিমি গতিতে।
এই রেল সেকশনে নিরাপদে ট্রেন চলাচলের জন্য লাইনের ধারে বিশেষ দেওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। আর সেই কাজ জুনের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গাজিয়াবাদ থেকে পন্ডিত দিন দওয়াল উপ্যাধায় স্টেশনের আগে পর্যন্ত প্রায় ১৩২৯ কিমি লাইনের পাশে দেওয়াল তৈরির কাজ শেষ। ‘অমর উজালা’র খবর অনুযায়ী, এই দেওয়াল নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে গেলে তবে এই লাইনে ট্রেনের গতি বাড়ানো হবে।
রেলওয়ের মিশন রাফতার প্রকল্পের অধীনে, দিল্লি-হাওড়া এবং দিল্লি-মুম্বাই রুটে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৬০ কিমি বাড়ানো হবে। এমনটাই রেলমন্ত্রকের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গত কয়েক বছরে। আর এরপরেই গত তিন বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ এই রেল রুট দুটিকে আগে নিরাপদ করার কাজ চলছে। অধিকাংশ এলাকাতেই লাইনের পাশে কংক্রিটের দেওয়াল বানানোর কাজ করা হচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় কাঁটা তার লাগানো হয়েছে। কিছু এলাকায় অর্থাৎ এক্সপ্রেসওয়ের লাইনে ধাতব বিম ক্র্যাশ ব্যারিয়ারও তৈরি করা হয়েছে।
ওই সংবাদমমাধ্যমের খবর অনুযায়ী বর্তমানে উত্তর মধ্য রেলওয়ের প্রয়াগরাজ বিভাগে দিল্লি-হাওড়া রুটের উভয় পাশে মাত্র ১৭১ কিলোমিটার কাজ বাকি আছে। আর সেই কাজ একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে চলতি বছরেই এই কাজ শেষ হয়ে যাবে।
অমর উজালা’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যেভাবে কাজ চলছে তাতে এই কাজ জুনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। আর তা শেষ গেলেই রাজধানী, শতাব্দী এবং বন্দ ভারত এক্সপ্রেসের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনগুলি ‘আলোর গতি’তে ছুটবে। যদিও এই রুটে এখন বন্দে ভারত ঘোষণা করা হয়নি।
বলে রাখা প্রয়োজন, দিল্লি-হাওড়া কিংবা দিক্ললি মুম্বই রুটে রাজধানী কিংবা বন্দে ভারত সর্বোচ্চ প্রতি ঘণ্টায় ১৩০ কিমি গতিতে চলে। কাজ শেষ হলেই গতি ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ছুটবে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় লাইনে গবাদি পশু চলে আসে।
আর তাতে বিপদ ঘটে যাওয়ার অনেক সম্ভাবনা থেকে যায়। এমনকি লাইনের উপর গাড়ি কিংবা মানুষ চলে এসে দুর্ঘটনা ঘটেছে এমন অভিজ্ঞতাও দেখা গিয়েছে। আর সেই কারণে যেমন ক্র্যাশ বেরিয়ার তৈরি করা হচ্ছে তেমন দেওয়ালও তুলে দেওয়া হচ্ছে।