সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
অদ্ভুত বিষয় হল একমাত্র এই সূর্য ও বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত উভয় মতেই বিশ্বকর্মা পুজো একদিনে পড়ে। তিনি বিশ্বের সৃষ্টি করেছিলেন বলে তাঁকে বিশ্বকর্মা বলা হয়। তিনি নিজেই সৃষ্টি হয়েছিলেন তাই তিনি স্বয়ম্ভূ।
পশ্চিমবঙ্গের আদি বাসিন্দা বা ঘটিরা বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন রাত জেগে রান্না করে তার ঠাকুরের উদ্দেশ্যে নিবেদন করে পরের দিন তা খান।
মূলত কারিগরী শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বিশ্বকর্মা পুজো করলেও। অনেকে বাড়িতেও এই পুজো করেন। এই দিন ঘুড়ি ওড়ানোরও প্রথাও রয়েছে এখনও।
সনাতন ধর্মে বিশ্বাস করা হয়, ভগবান বিশ্বকর্মা হল পৃথিবীর প্রথম ইঞ্জিনিয়ার। শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকাও তিনি তৈরি করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।
বছরে একবার বিশ্বকর্মার মূর্তি গড়ে পুজো করা হলেও অসমের কালীপুরে বিশ্বকর্মার নিজের হাতে তৈরি মন্দির আছে বলে ধর্মীয় বিশ্বাস।
প্রতিবছরের মতো এবারও ৩১ ভাদ্র অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মার পুজো হবে।
১৭ তারিখ সকাল ৭টা ৫২ মিনিটে অমৃত যোগ পড়ছে। শেষ হচ্ছে ১০টা ১৬ মিনিটে। আবার ১২.৪০ থেকে শুরু হয়ে থাকছে ২.১৬ পর্যন্ত, বিকেলে পড়ছে ৪.৪০ মিনিটে থাকছে ৬.১৬ পর্যন্ত। সন্ধ্যা ৮.৪০ থেকে শুরু হয়ে থাকছে ১১টা ৬ মিনিট পর্যন্ত আর রাত ১.২৭ মিনিটে শুরু হয়ে থাকছে ৩.০৪ মিনিট পর্যন্ত।
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ভোরে স্নান করে পূর্বপুরুষদের অর্ঘ্যদান করে গরিবদের দান করুন। অনেক উপকার হবে।
এই দিন ভোরে স্নান করে সূর্য পুজোর পরামর্শ দেন অনেক জ্যোতিষী।