ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী, বাংলাদেশ।
ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলিবর্ষণে এক ব্যক্তি আহত হওয়ার ঘটনায় রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশ (আরমপি) সাবেক কমিশনার, রাজশাহী রেঞ্জের সাবেক ডিআইজিসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এতে পুলিশের ২১ সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) বিকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক ফয়সল তারেক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এর আগে মঙ্গলবার সকালে জেলার পবা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে মারুফ মর্তুজা নামে এক ব্যক্তি আদালতে মামলার আবেদন করেন।
নামীয় আসামিরা হলেন- রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সাবেক কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রাজশাহী রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক, বোয়ালিয়া জোনের ডিসি বিভূতি ভূষণ ব্যানার্জি, বোয়ালিয়া থানার এসআই কিংকর সাহা, আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সাবেক এডিসি উৎপল কুমার চৌধুরী, ডিবির সাবেক ওসি মশিয়ার রহমান, বোয়ালিয়া থানার সাবেক ওসি হুমায়ুন কবির, ওসি তদন্ত আমিরুল ইসলাম, কর্ণহার থানার সাবেক ওসি কমল কুমার দেব, কাটাখালী থানার সাবেক ওসি তৌহিদুর রহমান, এয়ারপোর্ট থানার এসআই আব্দুর রহিম, রাজপাড়া থানার এসআই কাজল কুমার নন্দী, বোয়ালিয়া থানার এসআই ইফতেখায়ের আলম, কাটাখালী থানার কনস্টেবল ফুলবাস মন্ডল, বোয়ালিয়ার কনস্টেবল আশরাফুল ইসলাম, রাজপাড়ার এসআই মানিক, এএসআই মানিক রাজপাড়া থানার এএসআই প্রণব, কর্ণহারের এএসআই তসলিম উদ্দিন ও এএসআই সিরাজ। এই মামলায় অজ্ঞাত আরো ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তালাইমারি মোড় থেকে বাদী মারুফ মুর্তজা প্রায় দুই হাজার ছাত্র-জনতার সঙ্গে মহানগরীর পশ্চিম দিকে রওনা দেন। দুপুর সোয়া ১টার দিকে বোয়ালিয়া থানা এলাকায় পৌঁছালে আরএমপির সাবেক কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এতে করে মারুফ মুর্তজাসহ আরো অনেকে আহত হন। এ সময় দুটি গুলি তার পায়ে এসে লাগে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে মামলা করেন, হাসপাতালে থাকার করণে মামলা করতে বিলম্ব হয়।