শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
“চামড়া তুলে ডুগডুগি বাজাতে সময় লাগবে না। এখন ট্রেলর দেখিয়েছি পরেরবার সিনেমা দেখাবো।” এভাবেই মঙ্গলবার মাথাভাঙায় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে গত ৮ সেপ্টেম্বর মাথাভাঙায় রাত দখলের কর্মসূচিতে প্রতিবাদীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। তারই প্রতিবাদে এদিন এলাকায় অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। এদিন সেই মঞ্চ থেকেই শাসকদলের নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “তোরা আমাদের নির্দেশ দিবি, ডিকটেড করবি? আর মস্তানি, দাদাগিরি চলবে না। কীভাবে চামড়া তুলে ডুগডুগি বাজাতে হয় আমি জানি, একটা দিন সময় লাগবে!”
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর তো সকলেই জানে। এদিন এখানে আসছি জানতে পেরে, মাথাভাঙার এক ব্লক তৃণমূল নেতা আমাকে মেসেজে লিখেছিল, বেশি করে সিকিউরিটি নিয়ে আসতে। আমি ওকে বলেছি, তোমার নিজের বাবার ঠিক থাকলে তুমি এসো, দেখা হবে। সিপিএমও অনেক ধমক, চমক দেখাত। ২৩৫ এর অহঙ্কার করত। এখন বিধানসভায় ওরা শূন্য হয়ে গেছে। তৃণমূলের এই অহঙ্কারও আগামীদিনে মানুষ রাস্তায় মিশিয়ে দেবে।”
এদিন শাসকদলকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “চুরি করে পঞ্চায়েত পুরসভা দখল করেছি। ডাকাতি করে নিশীথকে হারিয়ে দিয়েছি, তার মানে বিরোধীরা শেষ হয়ে গিয়েছে ? বিরোধীরা শেষ হয়নি, আজকে মাথাভাঙাতে ট্রেলর দেখিয়ে দিয়ে গেলাম। সিনেমা এর পরের বারে এলে দেখাব। আমি তো চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলি, পুলিশ বাবা পার করেগা। পুলিশ যদি এদের কাছে না থাকে না, এদের চামড়া তুলে ডুগডুগি বাজাতে কোচবিহারের লোকের এক মিনিটও সময় লাগবে না।”
অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা নবান্নে বৈঠকের প্রস্তাব ফিরিয়েছেন আজই। উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় ফিরে তাঁদের এই অবস্থানকে সমর্থন করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর সাফ কথা, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসা উচিত হবে না জুনিয়র চিকিৎসকদের। কেন না, এই আন্দোন চলছে অরাজনৈতিকভাবেই।