সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
উৎসবে ফিরে এলো সোদপুর পানিহাটি। সোদপুরের চিকিৎসক পড়ুয়া তরুণী আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ধর্ষণ এবং হত্যার শিকার হলেও বিচারের দাবি জানানোর পাশাপাশি মা দুর্গার আবাহনও পিছিয়ে থাকতে চায় না সোদপুর পানিহাটির মানুষ। তা প্রমাণিত হয়ে গেল আরো একবার।
সিপিএমের পাশাপাশি বিভিন্ন নকশাল পন্থী সংগঠন যখন বিভিন্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে দাবি তুলেছে উৎসবে ফিরব না অথবা এবারে দুর্গা পুজো বন্ধ থাকুক – তাদের গালে সপাটে বিরাশি সিক্বার থাপ্পড় মেরে সোদপুর পানিহাটি অঞ্চলের পূর্ব পানিহাটি সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি কম বাজেটের পূজা হওয়া সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিল সরকারি অনুদানের অর্থ পাওয়ার জন্য।
মাত্র দেড় লক্ষ বা ২ লক্ষ টাকা বাজেটের এই পুজোর পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার।
শনিবার ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত খড়দহ থানার উদ্যোগে রাজ্য সরকারের পাঠানো ৮৫ হাজার টাকা সরকারি অনুদানের চেক হাতে পেয়েছে পূর্ব পানিহাটি সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। তারপরেই সরকারি অনুদান পাওয়া সত্ত্বেও কুৎসার রাজনীতি না করে বাঙালির চিরন্তন দুর্গা পুজোকে তুলে ধরার জন্যে এবং ছোট্ট ক্লাবকে সমর্থন জানানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ধন্যবাদ জানিয়ে এলাকায় হোর্ডিং দিয়েছে পূর্ব পানিহাটি সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।
পূর্ব পানিহাটি দুর্গোৎসব কমিটির পক্ষ থেকে তরুণ কর্মকর্তা অর্পণ দত্ত জানান, “অর্থনৈতিক দুর্দিনে দাঁড়িয়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে সমস্ত পূজো কমিটিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, একটি বিরলতম ঘটনা। সত্যি কথা বলতে কি আমরা ভেবেছিলাম এবছর হয়তো আমরা পূজো করতে পারবো না। কিন্তু মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বাংলার সমস্ত পূজো কমিটিকে উৎসাহিত করেছেন সেটা হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই হয়তো সম্ভব, ওনার ধৈর্য, সহনশীলতা, মানবিকতা, উদারতা ও সহযোগিতায় আজ আমাদের মতো ছোটো পূজো কমিটিকে উত্সাহিত করেছেন। আপনাকে প্রণাম।”