সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
প্রতিবারই পুজোর সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। এবারও সেই ধারায় ছেদ পড়ল না। মহালয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতার গানের অ্যালব্যাম প্রকাশিত হল। অ্যালবামের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অঞ্জলি’। তাতে মোট ১০টি গান আছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী নিজে কোনও গানে কণ্ঠ মেলাননি। বরং প্রতিটি গান লিখেছেন তিনি।
আর সুরও দিয়েছেন। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সুরুচি সংঘের থিম সংটা তিনিই লিখে দিয়েছেন। সুরটা পুরোপুরি দেননি তিনি। তবে ‘গাইড’ করে দিয়েছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
আর নিজের নয়া অ্যালবাম প্রকাশের পরে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘পুজোয় প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরেও আমার গানের অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে। এই বছরের অ্যালবামের নাম – অঞ্জলি। কথা এবং সুর আমি নিজে করেছি। গান গেয়েছেন বাংলার গুণী শিল্পীরা।’ সেইসঙ্গে সকলকে পুজোর শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পুজোর প্রতিটি মুহূর্ত আপনাদের ভালো কাটুক এবং আনন্দে কাটুক।’
মুখ্যমন্ত্রীর অ্যালবামে কী কী গান আছে?
১) আমার আড়াল আমার আবডালে – শ্রীরাধা।
২) ও বাতাস তোমায় দোলায় – নচিকেতা।
৩) আলোর ভোরে জাগো মাগো – তৃষা।
৪) ঝংকার তুমি নিজেই জানো না – বাবুল।
৫) আমার দৃষ্টির সরোবরে – রাঘব।
৬) ওই সুদূরের দেশে – ঐতিহ্য।
৭) সৃষ্টি এসো ঘুমের ঘোরে – ইন্দ্রনীল।
৮) স্বপ্ন দেখো ফুলের তালে – সুজয়।
৯) আমি শুনেছি প্রভাত পাখির গান – দেবজ্যোতি।
১০) আজ বসন্ত পঞ্চমীতে – অদিতি।
মমতার মোট গানের সংখ্যা কত হল?
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে তাঁর মোট গানের সংখ্যা ঠিক কতগুলি, তা তিনি নিজেই জানেন না। তবে বাকিদের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান যে গানের সংখ্যা ১৩০টি ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘এখন মনে হয় একশো কত হবে? বলছে ১৩০টা হয়েছে। আমি নিজেই জানি না। সরকারি গান ছাড়া। সরকারের প্রতিটি প্রকল্পেই আমার গান আছে। প্লাস সুরুচির কথাটা আমার। সুরটা আমি একটু গাইড করে দিয়েছি। ওটা আবার আলাদা আছে।’