সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মতলা থেকে উঠে যেতে ফের চিঠি পুলিশের। প্রত্যেক অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারকে (Junior Doctors Hunger Strike) আলাদা ভাবে চিঠি দিয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানা।
গত শনিবার থেকে আমরণ অনশনের রাস্তায় হেঁটেছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই অনশনকারীদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজের ৩ জন, এনআরএস মেডিক্য়াল কলেজের ১জন, এসএসকেএম মেডিক্য়ালের কলেজের ১ জন এবং কেপিসি মেডিক্য়াল কলেজের ১ জন জুনিয়র চিকিৎসক। পরে এই অনশনে যোগ দেন অনিকেত মাহাতো। আর এই অনশনের প্রথম দিন থেকেই বায়ো টয়লেট, চৌকি, জলের গাড়ি আনতেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। ফের অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মতলা থেকে উঠে যেতে চিঠি দিল পুলিশ।
অনশনকারীদের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে। ধর্নামঞ্চ ছেড়ে জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যত্র চিকিৎসা করাতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেআইনি ভাবে ধর্মতলা চত্বরে ধর্না চালানো হচ্ছে বলেও উল্লেখ চিঠিতে।
গত ৫ অক্টোবর ধর্মতলায় অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তারদের মেল করে কলকাতা পুলিশ জানায়, পুজোর সময় ধর্মতলায় অবস্থানে বসলে সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এর আগে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের তরফে পুলিশকে চিঠি লিখে মেট্রো চ্যানেলে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান ও অনশনে বসার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। জুনিয়র ডাক্তারকে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগে নিঃশর্ত কলকাতা পুলিশকে ক্ষমা চাইতেও বলা হয় চিঠিতে। পাল্টা মেলে পুলিশ জানায়, আসন্ন দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে কেনাকাটা করতে বহু মানুষ ভিড় করছেন। বিভিন্ন মণ্ডপে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা অবস্থানে বসলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়বেন এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও গুরুতর সমস্যা হতে পারে। মেল করে জুনিয়র ডাক্তারদের জানাল কলকাতা পুলিশ।