সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
কোজাগরী শব্দের আক্ষরিক অর্থ কে জেগে আছে? রাতে জেগে থেকে দেবীর আরধানা করাই রীতি। কথিত আছে এদিন মর্ত্যে নেমে এসে দেবী লক্ষ্মী ভক্তদের আর্শীবাদ করেন।
দুর্গা পুজোর পরের পূর্ণিমাটিই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। মানুষের বিশ্বাস, তিনি দেখেন, রাতে কে জেগে আছেন পৃথিবীতে । কে তাঁর পুজো করছেন পূর্ণ ভক্তির সঙ্গে ।
সেই অনুযায়ী তাঁর ঘরে বিরাজ করেন দেবী। এমনটাই বিশ্বাস সকলের।
এ বছর বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিন ধরে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। দিনে নয়, রীতি অনুযায়ী মা লক্ষ্মী পুজো নেন রাতে। কোজাগরী পূর্ণিমার চাঁদ আকাশে উঠার পর পুজো শুরু বাংলার ঘরে ঘরে।
সন্ধ্যায় পুজো করে সারারাত জেগে থাকাই কোজাগরী-রীতি। ‘কোজাগরী’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ‘কঃ জাগর’ শব্দবন্ধ থেকে। ‘কঃ’ মানে কে, ‘জাগর’ শব্দের অর্থ জেগে আছ। অর্থাৎ, কে জেগে আছ?
মানুষের বিশ্বাস, এদিন রাতে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে আসেন দেবী। যে ভক্ত রাত জেগে তাঁর আরাধনা করেন, তাঁকে আশীর্বাদ করে যান তিনি।
এ বছর লক্ষ্মী পুজো তিথি দুই দিন ধরে রয়েছে। তাই কবে পুজো করা শ্রেয় , তা নিয়ে অনেকেই ভাবছেন।
বিশুদ্ধ ও গুপ্তপ্রেস , উভয় পঞ্জিকা অনুসারেই বুধবার তিথি শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে। তাই যাঁরা রাত জেগে পুজো করেন, তাঁরা বুধবার রাতটিকেই বেছে নেবেন।
আর যাঁরা সূর্যোদয় ধরে তিথি মানেন, তাঁরা পুজো করতে পারেন বৃহস্পতিবার।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে, পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ ১৬ অক্টোবর, বুধবার। রাত ৮টা ৪২ মিনিটে পূর্ণিমা পড়বে । আর পরদিন বিকেল ৪টে ৫৬ মিনিটে পূর্ণিমা ছেড়ে যাচ্ছে।
গুপ্তপ্রেশ পঞ্জিকা মতে, বুধবার পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ ১৬ অক্টোবর, বুধবার রাত ৭টা ৪২ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডে। পূর্ণিমা তিথি শেষ ১৭ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা ৫টা ১৭ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে তিথি শেষ ।