সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
যাবতীয় পরিকল্পনা এবং প্রত্যাশা ভেস্তে দিয়ে বাংলার ছয় বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি।
প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে নিশীথ অধিকারীর মত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের এবারের বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী করতে পারে বলে যে সমস্ত জল্পনা-কল্পনা চলছিল তাতে জল ঢেলে দিল বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বাংলায় ছয় বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। ১৩ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ – নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সেই ছটি বিধানসভা কেন্দ্র হল – তালডাংড়া, সিতাই, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর ও মাদারিহাট। বিজেপি উপনির্বাচনে ছয় কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করেছেন।
বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, সিতাই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন দীপক রায়। মাদারিহাট থেকে প্রার্থী হয়েছেন রাহুল লোহার। নৈহাটি থেকে প্রার্থী হয়েছেন রূপক মিত্র। মেদিনীপুর থেকে শুভজিৎ রায়, হাড়োয়া থেকে বিমল দাস ও তালডাংরা থেকে অনন্যা রায় চক্রবর্তী প্রার্থী হয়েছেন। কেন্দ্রীয় ঘেরাটোপের মধ্যে হবে এই উপনির্বাচন। উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের তোড়জোড় শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে ৮৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কমিশন সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ছটি বিধানসভা কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
আরজি কর কাণ্ডের পর জুনিয়র চিকিৎসকরা লাগাতার আন্দোলন করছেন। বর্তমানে তাঁরা অনশন করছেন। এই পরিস্থিতিতে এই উপনির্বাচন যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ। ৬টি আসনের মধ্যে ১টি ছিল বিজেপির দখলে। বাকি ৫টি ছিল তৃণমূলের। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, ৬টি আসনের প্রত্যেকটিতে তৃণমূল জয় ছিনিয়ে আনবে।
অন্যদিকে, বিজেপি নিজেদের আগের থেকে আরও শক্তিশালী করতে বদ্ধ পরিকর। ফলে এই উপনির্বাচনকে ঘিরে বাংলা জুড়ে নির্বাচনের আমেজ।