সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে সাইক্লোন দানা। এর জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে, পুরীর খুব কাছেই ল্যান্ডফল করতে পারে এটি। আর এর জেরেই চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে জনপ্রিয় পর্যটনস্থল পুরীতে। পর্যটকদের সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।
ফলে মহা বিপাকে পড়েছেন অনেকে। কারণ, পুজোর এই মাসে ছুটি বেশি থাকে। ফলে প্রচুর পর্যটক এই সময়ে পুরীতে যান। বছরের ১২ মাসই পুরীতে ভিড় লেগে থাকে। বাঙালিদের কাছে খুবই পছন্দের পর্যটন এবং তীর্থস্থান হচ্ছে পুরী। কিন্তু এখন সেখান থেকে পর্যটকদের সরানোর কাজ শুরু হওয়ায় অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। ফরে ভারাক্রান্ত মনেই পুরী ছাড়তে হচ্ছে তাঁদের।
ওড়িশার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সুরেশ পূজারি সোমবার জানিয়েছেন, পুরীতে আসা পর্যটকদের শীঘ্রই সমুদ্রতীরবর্তী তীর্থযাত্রী শহর ছেড়ে যাওয়া উচিত। কারণ মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। পুরী জেলা প্রশাসন সোমবার সমুদ্র সৈকতে লাল পতাকা দিয়ে রেখেছে। সকল পর্যটককে সমুদ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। লাইফ গার্ড মোতায়েন ছাড়াও, সরকার পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমও ব্যবহার করা হচ্ছে। ওড়িশার ওই মন্ত্রী জানিয়েছেন, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত জেলাশাসকদের স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং কলেজগুলির ছুটি ঘোষণা করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার একটি হেলিকপ্টার পাঠাবে। যা ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে জরুরি কাজের জন্য মোতায়েন করার জন্য প্রস্তুত রাখা হবে। এটি উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে ব্যবহার করা হবে।
অনুমান করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের সময়ে সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। এর ফলে পুরীর সমুদ্র তটের বড় অংশ প্রাভাবিত হতে পারে। তাই আগে থেকে সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। পর্যটকদের কোনওভাবেই সমুদ্রে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে পুরী ঘুরতে গিয়ে কার্যত বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে তাঁদের। এখনও পর্যন্ত যা জানাচ্ছে, আগামী বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড়টি ল্যান্ডফল করতে পারে। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক সম্ভবত শনিবার থেকে হতে পারে।