সুমনা মিশ্র। কলকাতা সারাদিন।
পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের এক ডাক্তারি পড়ুয়ার গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার সকালে কান্দি থানার অন্তর্গত উদয়চাঁদপুর এলাকায়। মৃত ওই ব্যক্তির নাম মঙ্গল সরকার (৬৫)।
বহরমপুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘাতক গাড়ি এবং তার চালককে আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাক্তন সেনা কর্মী মঙ্গল সরকার সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর শিক্ষকতা করতেন। কয়েক বছর আগে প্রধান শিক্ষক হিসেবে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। উদয়চাঁদপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালেও নিজের বাড়ির সামনে দিয়ে চলে যাওয়া বহরমপুর-কান্দি রাজ্য সড়কের পাশের রাস্তার ধরে ‘মর্নিং ওয়াক’ করছিলেন। সেই সময়ে কান্দির দিক থেকে বহরমপুরের দিকে যাওয়ার সময় একটি বেসরকারি ছোট গাড়ি প্রচন্ড গতিতে এসে মঙ্গলবাবুকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বহরমপুর থানার এক আধিকারিক জানান, আক্রম সরকার নামে বড়ঞা থানা এলাকার এক বাসিন্দা আজ সকালে তাঁর মাকে বহরমপুরে ডাক্তার দেখানোর জন্য গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন। সেই সময়ে ডাক্তারি ছাত্রের গাড়িটি উদয়চাঁদপুর এলাকায় মঙ্গল সরকারকে ধাক্কা মারে। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় ওই গাড়িচালক মঙ্গল সরকারকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশের ওই আধিকারিক জানান, ‘গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদে করে আমরা জানতে পারি তিনি বর্তমানে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। যদিও ওই ডাক্তারি পড়ুয়া এখনও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাননি বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।’
মৃত ওই ব্যক্তির ছেলে দীপঙ্কর সরকার বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো আজ সকালেও আমার বাবা বাড়ির সামনে ‘মর্নিং ওয়াক’ করছিলেন। কিছুদূর গিয়ে তিনি যখন আবার বাড়ির দিকে ফিরে আসছিলেন, সেই সময় একটি গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারে। হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় বাবার সংজ্ঞা ছিল না। মেডিক্যাল কলেজে আনলে ডাক্তাররা বাবাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’ পুলিশ ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মঙ্গল সরকারের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।