রঞ্জন দাস। কলকাতা সারাদিন।
গোসাবার বিডিও অফিসের মাঠে গোসাবা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনী ও প্রবীণ কর্মীদের সংবর্ধনার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা জয়নগর কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিমা মন্ডল,ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা, সুন্দরবন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা মন্দিরবাজার বিধায়ক জয়দেব হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ অনিমেশ মন্ডল,গোসাবা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিলীমা মন্ডল,প্রয়াত বিধায়ক পুত্র বাপ্পাদিত্য নস্কর সহ অন্যান্যরা।
এছাড়াও গোসাবা ব্লকের ৯ টি দ্বীপ এলাকার ১৪ টি পঞ্চায়েতের প্রায় ত্রিশ হাজার তৃণমূল কর্মীসমর্থক উপস্থিত হয়েছিলেন বিজয়া সম্মিলনীতে।
বিজয়া সম্মিলনী শেষে এলাকার মানুষজন জলযানে চেপে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ইতিমধ্যে প্রত্যন্ত দ্বীপ আমতলির উদ্দেশ্যে একটি জলযানে(ভুটভুটি) চেপে ১৩০ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থক বাড়ি ফেরার জন্য রওনা দিয়েছিলেন। কচুখালি হরিশপুর জেটীঘাট সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যাধরী নদীতে জলযানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ডুবে যায় জলযানটি। জেটীঘাট সংলগ্ল এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা সাঁতরে অক্ষত অবস্থায় নদীর পাড়ে ওঠেন সকলেই। সেখান থেকে ১৩০ জন কে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টী অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এমন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসে দলীয় নেতৃত্ব। দুর্ঘটনাগ্রস্থ তৃণমূল কর্মী সমর্থদের কে বাড়িতে ফেরানো লক্ষ্যে তৎপরতা শুরু করেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে গোসাবা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ অনিমেশ মন্ডল জানিয়েছেন, ‘জলযানে চেপে ১৩০ জন কর্মী সমর্থক আমতলি এলাকায় ফিরছিলেন। কচুখালির হরিশপুর জেটীঘাট সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যাধরী নদীতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জলযানটি। তবে সকলকেই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।