শৌনক মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
নিউইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত ভারতীয় শিল্পপতি তথা আদানি গ্রুপের (Adani Group Chairman) চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। মাল্টি বিলিয়ন ডলার তছরূপ ও প্রতারণার (Fraud) অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে অভিযুক্ত করা হল গৌতম আদানিকে।
আমেরিকার অভিযোগ, সোলার এনার্জি সাপ্লাইয়ের কন্ট্র্যাক্ট পেতে ভারত সরকারের শীর্ষকর্তাদের ২৬.৫ কোটি ডলার ঘুষ (Bribery) দিয়েছে আদানি কর্তারা।
একা গৌতম আদানি নন, ভাইপো সাগর আদানি-সহ ৭ জনকে অভিযুক্ত (Defendants) করল যুক্তরাষ্ট্রের আদালত (US Court)।
আদালতের দাবি, ঘুষের কথা রাখঢাক করতে বেশকিছু পন্থা অবলম্বন করা হয়েছিল। ষড়যন্ত্রকারীদের একাংশ গৌতম আদানির সঙ্গে কোড নেম নিয়ে যোগাযোগ করত। ‘নিউমেরো ইউনো’, ‘দ্য বিগ ম্যান’ এইসব নামে আদানিকে সম্বোধন করা হত। সাগর আদানির মোবাইলেও ঘুষের বিষয়ে তথ্য রয়েছে বলে দাবি আমেরিকার।
আদালত আরও দাবি করে, বিনিয়োগকারীদের দুর্নীতি ঢাকতে আদানি গ্রিন এনার্জির (Adani Green Energy) আধিকারিক বিনীত জৈন ঋণ ও বন্ড মারফত ৩০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘুষ বিরোধী আইনের (U.S. anti-bribery law) লঙ্ঘন করার অভিযোগে আদানিদের অভিযুক্ত করল নিউইয়র্কের আদালত।
যদিও এনিয়ে আদানি গোষ্ঠীর অথবা ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। অভিযুক্তদের মধ্যে নাম রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা আজ়ুর পাওয়ার গ্লোবালের প্রাক্তন চিফ এক্সিকিউটিভ রঞ্জিত গুপ্তার। এছড়াও ওই সংস্থার কমার্শিয়াল অফিসার রূপের আগরওয়ালেরও নাম রয়েছে তালিকায়। মোট ৭ জন অভিযুক্তই ভারতীয় বলে জানিয়েছে আদালত।
জানা গিয়েছে, গৌতম আদানি ও সাগর আদানির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা (Arrest Warrant) জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন গৌতম ও সাগর আদানির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে ইতিমধ্যেই।
বছর ৬২-এর গৌতম আদানি বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম একজন। ফোর্বস ম্যাগাজিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৭ হাজার কোটি ডলারের মালিকানা রয়েছে তাঁর। ভারতের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি গৌতম আদানি। রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ অম্বানির পরেই তার স্থান রয়েছে। বিশ্বের ধনীতমদের তালিকায় ২২ নম্বরে নাম রয়েছে গৌতম আদানির।