যেখানে পরিবেশ দূষণের মাত্রা বেড়ে গিয়ে আর্টিফিশিয়াল যোগে পদার্পণ করছে মানুষ, ঠিক সেই সময় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি পঞ্চায়েত সমিতি ও সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর উদ্যোগে তৈরি হল জীববৈচিত্র্য পার্ক। একদা এক সময়, মাওবাদীদের বন্ধুকের আওয়াজে সূর্য উদয়ের মাধ্যমে বিকশিত হতো জঙ্গলমহল তথা শালবনি ব্লকের বাঁকিবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের জামবনী এলাকার মানুষের জীবনযাপন। রাজ্যে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর একটু একটু করে উন্নয়নের আলোয়ে বিকশিত হয়েছে জঙ্গলমহলের শালবনি ব্লকের বিভিন্ন এলাকা।
বর্তমানে জামবনি এলাকায় রয়েছে সরকারি আইটিআই কলেজ, রয়েছে ভারতীয় নোট মুদ্রণ ছাপাখানা ও রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোবরা বিভাগের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ঠিক তারই অদূরে লাল মাটির উপর গড়ে উঠলো ভেসজ জীব বৈচিত্র্য পার্ক। দীর্ঘদিনের লাল মাটির খরা কাটিয়ে স্থাপন হয়েছে রঙিন মাছ তৈরীর পুকুর। আই লাভ শালবনি হয়ে উঠেছে কচিকাঁচা থেকে বয়স্কদের স্বপ্নের সেলফিজোন।
বুধবার শালবনি জীববৈচিত্র্য পার্কের উদ্বোধনে এসে মেদিনীপুর এর বিধায়ক সুজয় হাজরা বলেন, এলাকার মানুষের মনোরঞ্জন এবং সুস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সরকারের পক্ষ থেকে জীব বৈচিত্র পার্ক গড়ে তোলা হলো। আবেদন এলাকার মানুষকেই সঠিকভাবে এর রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।
অন্যদিকে শালবনি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রোমান মণ্ডল বলেন, আমি এখানে আসার পরেই শুনেছিলাম এ ধরনের একটি পার্ক তৈরীর প্রস্তাব এনেছে এলাকার তৎকালীন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কৌশিক দোলই। সেই মতোই এলাকার মানুষকে উপহার দিতেই শালবনি ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে লাল মাটির উপর অবস্থান করা হলো জীব বৈচিত্র্য পার্কের। এলাকার মানুষ এই পার্কে এসে শিখুক জীববৈচিত্র্য ও গাছের উপকারিতা।
বুধবার ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ জ্যোতিপ প্রসাদ মাহাতো , তরুণ সমাজসেবী সন্দীপ সিংহ, জেলা পরিষদের সদস্যা উষা কুন্ডু, শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ গৌতম বেরা, বাঁকিবাঁধ গ্রামপঞ্চায়েত এর প্রধান ধনঞ্জয় মাহাতো সহ আরো অনেকে।