সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
পুজোর আগে ই এম বাইপাসের উপর মেট্রোর কাজ শেষ করতে চাইছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। অরেঞ্জ লাইন অর্থাৎ কবি সুভাষ থেকে বিমানবন্দরগামী মেট্রো লাইনে নিউ গড়িয়া থেকে রবির মোড় পর্যন্ত অংশে পরিষেবা চালু রয়েছে।
তবে পুজোর আগেই রবির মোড় অর্থাৎ হেমন্ত মুখোপাধ্যায় মেট্রো স্টেশন থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা শুরুর সম্ভাবনাও রয়েছে। অন্যদিকে মেট্রোপলিটন থেকে ক্যাপ্টেন ভেড়ি পর্যন্ত ভায়াডাক্ট তৈরীর কাজ শেষ করতে দিন-রাত রাস্তা বন্ধ করার অনুমতি চেয়ে কলকাতা পুলিশকে চিঠি পাঠিয়েছে আরভিএনএল।
ইতিমধ্যেই মেট্রোপলিটান মোড়ের কাছে একজোড়া ‘পোর্টাল’ তৈরির কাজ শেষ করে ফেলেছে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল)। জুনে এই পোর্টাল তৈরির কাজ শুরুর সময়ে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে। বাস্তবে তার অনেক আগেই কাজ সেরে ফেললেন ইঞ্জিনিয়াররা।
এবার আরভিএনএল চাইছে, ডিসেম্বরের মধ্যে রুবি থেকে সল্টলেক সেক্টর-ফাইভ পর্যন্ত টানা ৮ কিলোমিটার অংশে নির্মাণের কাজ পুরোপুরি শেষ করে ফেলতে। এই পরিস্থিতিতে মেট্রোপলিটান মোড়ের কাছে এই জোড়া পোর্টাল তৈরি হয়ে যাওয়ায় অনেকটাই স্বস্তিতে সংস্থা। তবে একটানা বৃষ্টি চলায় শুধুমাত্র রাতে কাজ করে শেষ হচ্ছে না মেট্রোর কাজ । তাই দিনেও রাস্তা বন্ধ করে কাজ করতে চাইছে মেট্রো। অন্যদিকে ভাড়া বহির্ভূত আয় বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে মেট্রো । তবে এবার বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে আরও এক উদ্যোগ মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের।
মেট্রোরেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ খাতে খরচ কমাতে এবার মেট্রো চত্ত্বরের মধ্যে থাকা প্রায় ৩৩০০ টি পুরনো প্রযুক্তির বৈদ্যুতিক পাখা বদল করতে চলেছেন তারা। প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ করে পুরনো প্রযুক্তির ওই পাখাগুলি বদল করা হবে। শহরের বিভিন্ন মেট্রো স্টেশন, মেট্রো ডিপো ও পার্ক স্ট্রিটের মেট্রো ভবনের ভিতরের বৈদ্যুতিক পাখা বদলানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
মেট্রো সূত্রে খবর, পুরনো সিলিং ফ্যান বদল করে ব্রাশলেশ ডাইরেক্ট কারেন্ট প্রযুক্তির মোটর রয়েছে এমন পাখা বসানো হবে। পুরনো সিলিং ফ্যানের জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষকে প্রতিবছর বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা বিল দিতে হয়। নতুন এই প্রযুক্তির পাখা বসানো হলে ৯ লাখ ইউনিট বাঁচবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রথমে এই নয়া প্রযুক্তির পাখা বসাতে গিয়ে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের এক কোটির বেশি খরচ হলেও। এই ফ্যান বসানোর কিছু বছরের মধ্যেই বিদ্যুৎ খাতে অনেক বেশি সাশ্রয় হবে।