শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
“সিপিএম আর যাই করুক ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি করেনি যেটা মমতা ব্যানার্জী করেছেন।” এভাবেই রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভাষায় সিপিএমের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যে ভয়ংকর বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের বরদা বিশালাক্ষী এলাকায় যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনের পাশাপাশি বিশালাক্ষী মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বন্যার্তদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। বিশালাক্ষী এলাকায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যেগে বন্যাদুর্গতের জন্য ত্রাণ বন্টন শিবির খোলা হয় সেখান থেকেই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
ঘাটাল থেকে দাসপুরেও যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন স্থানীয় নেতৃত্বদের সাথে নিয়ে। ঘাটালে সরকারের ত্রাণ বিলি নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা।
“সিপিএম আর যাই করুক ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি করেনি যেটা মমতা ব্যানার্জী করেছেন”, মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর। “আর ঘাটাল মাস্টার রূপায়ন হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনই,চাইলে ১৩ বছরে ঘাটাল মাস্টার প্লান রূপায়ন করতে পারতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”, এমনও দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ব্যার্থ বলে জানান শুভেন্দু অধিকারী।
“চারদিন ধরে ঘাটাল দাসপুর মিলিয়ে ৭-৮ হাজার মানুষকে রান্না করা খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে,ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক তার সতীর্থদের নিয়ে সাধ্যমতো চেষ্টা করছে ত্রাণ বিলির কাজে। আমরা সরকার নই, ত্রাণ দেওয়া নিয়ে আমাদের কিছু বাধ্যকতা আছে। এক সপ্তাহ হয়ে গেল সরকার কিছু করেনি এখানকার সাধারণ মানুষের জন্য”, এমনটাই অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
অন্যদিকে, আরজি কর মেডিক্যালের চিকিৎসকদের ময়নাতদন্ত সংক্রান্ত একটি বিতর্কিত দাবি নিয়ে ফের তৃনমূলকে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ফরেন্সিক বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাস জানিয়েছেন, “তাড়াতাড়ি ময়নাতদন্ত করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল।” এ তথ্যকে কেন্দ্র করে শুভেন্দু সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন, “এটা আরও আশ্চর্যের যে, সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়, যিনি নিহতের আত্মীয় নন, তিনি শ্মশানের নথিতে সই করেছিলেন।” শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানাচ্ছেন, চিকিৎসকের দেহ তাড়াহুড়ো করে সৎকার করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শ্মশানে হাজির ছিলেন নির্মল ঘোষ। আশ্চর্যজনকভাবে, সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়, যিনি নিহতের আত্মীয় নন, শ্মশানের নথিতে সই করেছেন।”