ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী, বাংলাদেশ।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আয়োজনে সনাতন নেতৃবৃন্দ ও রাজশাহী মহানগরীর পূজা উদযাপন কমিটি, মন্দির ও ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পুজা উদযাপনে নিরাপত্তার ব্যাপারে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক টীম থাকবে। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আমরা যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত। এছাড়াও প্রতিটি মন্ডবে পুজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরা সংযোজনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। দূর্ঘটনা এড়াতে ফায়ারসার্ভিস, এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা থাকবে। রাস্তাঘাট সংস্কার, পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম জোরদারকরণ করা হবে। এছাড়াও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে একটি ফোকাল পয়েন্ট করা হবে। সেখান থেকে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে যেকোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আরেক জনের ক্ষতি বা ভোগান্তি হোক এমন কাজ করা যাবে না।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে অতীতের ন্যায় এবারো রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সকল সংশ্লিষ্ট এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিমা বিসর্জনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিসর্জন ঘাটে ডুবুরী টিম রাখা হবে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে নেসকোকে ভূমিকা রাখতে হবে। তবে বিকল্প ব্যবস্থাপনায় জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আর দিনের আলোয় বিসর্জন কার্যক্রম শেষ করতে অনুরোধ জানান তিনি। সভায় নেতৃবৃন্দ পুজা উদযাপন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেন। সরকারী বরাদ্দের পাশাপাশি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রতিটি পূজা মণ্ডপকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড.এবিএম শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতনিনিময় সভায় বক্তব্য দেন রাসিকের সচিব মোঃ মোবারক হোসেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (এস্টেট এন্ড ডেভেলপমেন্ট) মধুসুদন রায়, ভদ্রা আবাসিক পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবোধ চন্দ্র সরকার, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট রাজশাহীর সভাপতি অচিন্ত্য কুমার বিশ^াস সান্টু, রাজশাহী ধর্ম্মসভার সভাপতি পার্থ পাল চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ফাবলিহা আনবার, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক একেএম মুর্শেদ, ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল হুদা, নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী অনিত কুমার রায়, গবেষণা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন, ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহমেদ আল মঈন পরাগ, বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী প্রকৌশলী শ্রী সুব্রত কুমার সরকার, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, পূজামণ্ডপের নেতৃবৃন্দ ও ক্লাব নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এ বছর রাজশাহী মহানগরীতে ৭৮টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।