সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংরক্ষণ ইস্যুতে চরম নাটক মহারাষ্ট্র সচিবালয়ে। আজ মহারাষ্ট্রের এনসিপি বিধায়ক তথা ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়াল সচিবালয়ের চারতলা থেকে ঝাঁপ দেন এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে। তাঁর দেখাদেখি আরও কয়েকজন বিধায়ক এই কাজ করে বসেন। তবে সেফটি নেট লাগানো থাকায় বেঁচে যান সবাই।
পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। ( সন্দীপ ঘোষের সেদিনের কল লিস্ট এল CBI-এর হাতে, তদন্তের মোড় এবার ঘুরবে কোন দিকে?)
জানা গিয়েছে, দ্য প্রভিশনস অব পঞ্চায়েত-র অধীনে উপজাতিদের নিয়োগ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে মহারাষ্ট্রে। এরই সঙ্গে ধাঙ্গার জনগোষ্ঠীকে উপজাতি স্বীকৃতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই দুই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই সচিবালের চারতলা থেকে নীচে ঝাঁপ দেন অজিত পাওয়ারের অনুগামী নরহরি। এছাড়া বিজেপি বিধায়ক হেমন্ত সাভরা, কিরণ লাহামাটে, হিরমন খোসকার ও রাজেশ পাটিলও ঝাঁপ দেন তাঁর পিছে পিছে। এই আবহে মহারাষ্ট্র সরকারে ফাটল দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের আগে চরম অস্বস্তিতে শাসক শিবির। তাই আজই মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বিধায়কদের ফোন করবেন এবং তাঁদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করবেন বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিকে সেফটি নেট থেকে সেই বিধায়কদের পুলিশ উদ্ধার করার পরে তাঁরা সচিবালয়ের বাইরেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন।
দীর্ঘদিন ধরেই পঞ্চায়েত আইন ১৯৯৬-এর অধীনে সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদের নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন মহারাষ্ট্রের বিধায়করা। তাঁদের অভিযোগ, ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে ১৭টি ক্যাটেগরিতে আদিবাসীদের নিয়োগ স্থগিত রয়েছে। জেনারেল শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীরা কাজে যোগ দিলেও, আদিবাসী প্রার্থীদের নিয়োগ হয়নি। এই আবহে আজ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় সচিবালয়ে। সেই সময়ই নাকি তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এর সূত্র ধরেই বিধায়কদের এই ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনা।