শৌনক মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
রাজদূত ৩৫০-এ যুক্ত হচ্ছে সর্বশেষ প্রযুক্তির ফিচার, যা এই বাইকটিকে অত্যাধুনিক ও উন্নত করে তুলবে। এতে থাকবে ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ডিজিটাল স্পিডোমিটার, ট্রিপ মিটার, সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ড্রাম ব্রেকের মতো সুবিধা।
ভারতে যুবকদের মধ্যে বুলেট বাইকের প্রতি বিশেষ ক্রেজ দেখা যায়, তবে যদি আপনি পুরনো প্রজন্মের লোকদের জিজ্ঞেস করেন, তাহলে তাদের মনে রাজদূতের স্মৃতি উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
৮০ এবং ৯০-এর দশকে রাজদূত ৩৫০ বাইকের বিশাল জনপ্রিয়তা ছিল। সেই সময় এটি শক্তি এবং ফিচারের দিক থেকে একটি চমৎকার বাইক হিসেবে বিবেচিত হত। যদিও কোম্পানি কিছু বছর পরে এর উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছিল, তবে এখন আবার এই দুর্দান্ত বাইকটি নতুন রূপে বাজারে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
রাজদূত ৩৫০-এর অভাবনীয় প্রত্যাবর্তন
কোম্পানি ঘোষণা করেছে যে রাজদূত ৩৫০ আবার বাজারে আসবে এবং এই বাইকটি এবারে শুধু শক্তিশালীই হবে না, বরং এতে থাকবে সর্বশেষ প্রযুক্তি এবং আধুনিক ফিচারের সংমিশ্রণ। ফলে যুবকদের আবার পুরনো দিনের স্মৃতি ফিরে আসবে এবং বুলেটের প্রতিযোগিতায় একটি চমৎকার বিকল্প পাওয়া যাবে।
রাজদূত ৩৫০-এর ফিচার
রাজদূত ৩৫০-এ সর্বশেষ প্রযুক্তির ফিচার যুক্ত করা হচ্ছে, যা বাইকটিকে অত্যাধুনিক ও উন্নত করে তুলবে। এতে থাকবে ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ডিজিটাল স্পিডোমিটার, ট্রিপ মিটার, সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ড্রাম ব্রেকের মতো সুবিধা। এর সাথে হেডলাইট, টেল লাইট, স্ট্যান্ড অ্যালার্ম এবং ক্লকও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
নিরাপত্তার দিক থেকেও এই বাইকটি পিছিয়ে থাকবে না। এর দীর্ঘ এবং আরামদায়ক সিট এবং উন্নত সাসপেনশন সিস্টেম এটিকে দীর্ঘ দূরত্বের যাত্রার জন্যও একটি আরামদায়ক বিকল্প করে তোলে।
ইঞ্জিন এবং পারফরম্যান্স
রাজদূত ৩৫০-কে শক্তির দিক থেকে অত্যন্ত বিপজ্জনক করা হয়েছে। এতে ৩৫০ সিসির ইঞ্জিন রয়েছে, যা ১২.০৪ bhp শক্তি এবং ৯ nm টর্ক উৎপন্ন করে। এই বাইকটি ১১০ কিমি/ঘণ্টা টপ স্পিড পর্যন্ত যেতে পারে, যা এটিকে তার সেগমেন্টে একটি শক্তিশালী বাইক হিসাবে প্রমাণিত করবে।
এছাড়াও, এর মাইলেজ ৬২ কিম্পিএল পর্যন্ত হবে, যা এটিকে শুধু শক্তিশালী নয়, বরং সাশ্রয়ীও করে তোলে।
দাম এবং প্রাপ্যতা
যদি আপনি রাজদূত ৩৫০ কিনতে চান, তবে এর এক্স-শোরুম দাম প্রায় ২.২১ লক্ষ টাকা হবে। তবে, বিভিন্ন শহর এবং শোরুমে দামগুলিতে কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে।
রাজদূত ৩৫০-এর প্রত্যাবর্তন কেবল বাইক প্রেমীদের জন্য একটি বড় সুখবর নয়, বরং এটি আবারও ভারতীয় সড়কে নিজের প্রতাপ জমাতে প্রস্তুত।