শক্তি বৃদ্ধি করছে ঘূর্নিঝড় “ ডানা “। হাওয়া অফিসের সর্তকবার্তা বুধবার বিকেল থেকে দক্ষিনবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। আর হাওয়া অফিসের এই সর্তকবার্তায় আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছে উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৪ নং ওয়ার্ডের জগদীশপুর বাঁশতলার নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।
নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে ভাঙন নদী বাঁধের অবস্থা কিরকম থাকবে সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় নদী পাড়ের বাসিন্দারা। বছর খানেক আগে উলুবেড়িয়া পুরসভার জগদীশপুর বাঁশতলায় হুগলী নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রথমে ৫০ মিটার নদীর পাড় ভাঙার কয়েক মাস চর আরোও ৭০ মিটারের মত নদী পাড় ভেঙে নদী গর্ভে চলে যায়।
নদী ভাঙন রোধে সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে নদীর পাড়ে ইঁট, বালির বস্তা, বাঁশের খাঁচা, লোহা ও লাইলনের জালের পাশাপাশি নদীর পাড়ে বিশেষ ধরনের প্লাস্টিকের আস্তরন দিলেও ভাঙন আটকানো সম্ভব হচ্ছেনা। আর এর সঙ্গে নতুন করে নিম্নচাপ সৃষ্টি হ ওয়ায় আতঙ্ক আরোও বৃদ্ধি পেয়েছে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের।
বাসিন্দাদের মতে সেচ দপ্তর কাজ করলেও ভাঙন আটকানো সম্ভব হচ্ছেনা। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হলে নদী বাঁধের অবস্থা কি হবে সেই চিন্তায় এখন বেশী করে ভাবাচ্ছে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। সেচ দপ্তরের উলুবেড়িয়া সিজবেড়িয়ার আধিকারিক জানান ইতিমধ্যে আমরা সমস্ত নদী বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছি।
তিনি বলেন সর্তকতা থাকলেও আতঙ্কের কোন কারণ নেই। এখন করা কোটাল থাকায় জল অনেকটাই নীচে তা সত্বেও আমরা সর্তক আছি পাশাপাশি নদী বাঁধ মেরামতকারী সংস্থাগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।