সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
এবার মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠালো জুনিয়র ডাক্তারদের নতুন সংগঠন। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে মুখ্যসচিবকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠির কপি স্বাস্থ্য সচিব,স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকেও পাঠানো হয়েছে।
মূলত ৮ দফা দাবি সম্বলিত এই চিঠিতে দাবি তোলা হয়েছে, আর জি করের চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় চার্জশিটে যার বা যাদের নাম আছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
কেন এই সংগঠন তৈরি করা হয়েছে তার উত্তর দিয়ে ইতিমধ্যে বিবৃতি দিয়েছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন’। তাঁদের মূল দাবি, আরজি কর কাণ্ডের ন্যায় বিচার এবং দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি। কিন্তু এছাড়াও তাঁরা জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের একাধিক নেতাদের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করেছে। সেই ব্যাপারেও যাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেই দাবি তুলেছে তাঁরা। আর এই প্রেক্ষিতেই মুখ্যসচিব ইমেল করা হয়েছে।
জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ইতিমধ্যেই দাবি করা হয়েছে, নির্যাতিতার বিচারের নামে ৪.৭৫ কোটি টাকা তুলেছেন অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদার, কিঞ্জল নন্দরা। বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে সেই টাকা রয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। বিচারের নিশ্চয়তার পাশাপাশি এই বিষয়েরও তদন্ত চান নয়া সংগঠনের জুনিয়র ডাক্তাররা। মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে তাঁদের দাবি, নিয়মমাফিক অডিট করানো হোক, এই অর্থ কারা দিচ্ছে, কোথা থেকে আসছে তা যাচাই করুক সরকার। west bengal junior doctors association against west bengal junior doctors front
মুখ্যসচিবকে মেল করে তাঁরা এও দাবি করেছেন, থ্রেট কালচারের নামে কোনও জুনিয়র ডাক্তারকে রাজনৈতিক মদতপুষ্ট তদন্ত কমিটির দ্বারা যাতে বহিষ্কার না করা হয়। ভবিষ্যতে যদি এমন ঘটনা ঘটে এবং দেখা যায় নির্দিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ বা এমএসভিপি কেউ এতে জড়িত তাহলে তাঁকে যেন কড়া শাস্তি দেওয়া হয়। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ থেকে যে সমস্ত অভিযোগ আসছে তাও খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঠিক কী কী দাবি রয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের নতুন এই সংগঠনের?
প্রকৃত দোষীকে ফাঁসি দেওয়া হোক।
আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট-এর যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট প্রকাশ্যে এসেছে,তার সঠিক তদন্ত করা হোক।
অবিলম্বে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে যাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ একতরফা।
সেগুলোর ক্ষেত্রে প্রকৃত তদন্ত করা হোক।
অতীতে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে যে সব থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছে,যেমন,রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় আবার নতুন করে তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হোক।
রাজ্য সরকারের সব স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কমিটি ও টাস্ক ফোর্সের মধ্যে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
নতুন এই সংগঠনকে আরজি কর হোস্টেলে অফিসের জন্য ঘর দেওয়া হোক।
শুধুমাত্র বয়স বা সিনিয়রিটির দিক থেকে নয় বরং যোগ্যতার মাপকাঠিতে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে শূন্যপদে নিয়োগ করা হোক।