প্রিয়াঙ্কা মান্না। কলকাতা সারাদিন।
ডুয়ার্সের কিছু জায়গা আজও প্রচারের আড়ালেই রয়ে গিয়েছে। নৈসর্গিক দৃশ্যের অধিকারী হলেও একমাত্র সেরকম ভ্রমণপিপাসু না হলে পর্যটকরা খুব একটা ভিড় জমান না সেসব জায়গায়।
সেরকমই এক জায়গা ধাঁয়াটার গাঁও। দার্জিলিং কিংবা কালিম্পংয়ের মতো ভিড় নেই এখানে। চায়ের বাগান, ছোট টিলা ঘেরা এক ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম।
শিলিগুড়ি থেকে ধাঁয়াটার গাঁওয়ের (Dhayatar Gaon) দূরত্ব মাত্র ৬৭ কিলোমিটার। তবে দার্জিলিং শহর থেকে খুব একটা দূরে নয়, মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রাম। উত্তরবঙ্গের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র বললেও অত্যুক্তি হয় না। ধুপি গাছ আর পাইনে ঘেরা ধাঁয়াটার গাঁও বহু প্রকৃতি প্রেমীদের আকর্ষণ হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যে। এই গ্ৰামের সৌন্দর্যের স্বাদ নিতে নিতে আপনি হারিয়ে যাবেন কোনও এক অজানা আস্তানায়। একদম কোলাহল মুক্ত পরিবেশ।
যে ভ্রমণপ্রেমীরা প্রকৃতির নির্জনতাকে উপলব্ধি করতে চান তাদের জন্য সেরা অফবিট ঠিকানা হবে ধাঁয়াটার গাঁও। এই গ্রামেই পেয়ে যাবেন ছোট্ট হোম স্টে। সেই হোমস্টেগুলির খাবার যেন সুস্বাদু তেমনই উষ্ণ তাদের আতিথেয়তা।
ভোরবেলা বা বিকেলে সূর্যাস্তের আগে বেরিয়ে পড়তে পারেন প্রিয়জনের সাথে। সম্পর্কের অনেক না বলা কথা এখানকার নির্জনতা এমনই বুঝিয়ে দেবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে হোমস্টের ব্যালকনি থেকে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে ভেসে যান পাহাড়ির হাওয়ায়।
খরচ খুব একটা বেশি নয়। ১,৫০০ টাকা মাথাপিছু প্রতিদিন। এই প্যাকেজেই থাকছে তিন বেলার খাবার। প্রাতঃরাশ, সন্ধেবেলার স্ন্যাকস এবং ডিনার। মধ্যাহ্নভোজের খাবারের খরচ আলাদা। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়িভাড়া লাগবে ৩৫০০ টাকা।