শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
দল বিরোধী কার্যকলাপ এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে একাধিক নেতাকে একসঙ্গে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস। বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সহ সভাপতি মণিঙ্কর মণ্ডল। এ ছাড়াও তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি প্রীতম হালদারকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
দল বিরোধী কাজের অভিযোগে দলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার দুই শীর্ষ নেতাকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। এরা হলেন- মণিশঙ্কর মণ্ডল ও প্রীতম হালদার। মণিশঙ্কর তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সহ সভাপতি পদে ছিলেন। আর তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি পদে ছিলেন প্রীতম হালদার।
এদিন এক বিবৃতিতে তাদের দলের সমস্ত পদ থেকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছেন শিক্ষা সেলের সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। লোকসভা ভোটে বিপুল জয়ের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘গেম চেঞ্জার দাদা’ হিসেবে পোস্টারও দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
এমনকি আরজি কর কাণ্ডের সময় যখন সাংসদ পদ থেকে জহর সরকার ইস্তফা দেন তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভাকে আরও বলিষ্ঠ করতে অভিষেককে মন্ত্রিসভায় আনার জন্য প্রকাশ্যে সরব হতে দেখা গিয়েছিল এই মণিশঙ্করকে। দলীয় সূত্রের খবর, এছাড়াও মণিশঙ্করের বিরুদ্ধে একাধিক দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ ছিল। দলের মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি প্রীতম হালদারের বিরুদ্ধেও গুচ্ছগুচ্ছ অভিযোগ ছিল।
এ ছাড়াও যুব তৃণমূলের সম্পাদক পদে থাকা আর এক নেতা তরুণ তিওয়ারিকেও বহিষ্কার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যুব তৃণমূলের এই নেতার বিরুদ্ধে গতকালই বড়বাজার থানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তোলাবাজির অভিযোগ দায়ের হয়। এক ব্যবসায়ী তরুণ তিওয়ারির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরই ওই যুব নেতার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয় তৃণমূল।
যুব তৃণমূলের সভানেত্রী এবং সাংসদ সায়নী বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়ে তরুণ তিওয়ারিকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছেন। তৃণমূল বহিষ্কার করার পাশাপাশি অভিযুক্ত ওই নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশও।