সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে।সিনিয়র অ্যাডভোকেট দুষ্মন্ত দাভে জানিয়েছেন, কোনও যথাযথ তদন্ত হয়নি। সবটাই হয়েছে পঙ্কজ বনশলের তথ্যের বিবৃতির ভিত্তিতে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের এজলাসে শুনানিতে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন চাকরিচ্যুতদের আইনজীবী।
শুধু তাই নয় এদিন শুনানির সময় দুষ্মন্ত দাভে নাম না করেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে করেন । আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘সিবিআই হাই কোর্টের বিচারপতির নির্দেশে সাধারণ ভাবে তদন্ত করেছে। সঠিক ভাবে তদন্ত হলে যোগ্য এবং অযোগ্য নিয়ে বিবাদ হতনা। ওই বিচারপতি রাজ্যের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু সেটা একেবারে তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার । তবে তদন্তে ত্রুটি রয়েছে।’
শুনানির মধ্যেই বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে , কোনওভাবে যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করতে পারলে ঠিক আছে। তা না হলে বাতিল করতে হবে পুরো প্যানেল । সেইসঙ্গে এদিন শুনানির পর ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মামলার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত। আগামী ২৪ মার্চ হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এরপর নবম-দশম এবং গ্রুপ ডি চাকরিচ্যুতদের আইনজীবী মুকুল রোহাতগিও হাই কোর্টের রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রোহতগী বলছেন, আসল ওএমআর শিট এখনও পাওয়া যায়নি। যে ওএমআর শিটগুলি উদ্ধার করা হয়েছিল, তা ফরেন্সিকের জন্য পাঠানো হয়। সেই রিপোর্ট আসার আগেই রায় ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। অথচ রিপোর্ট এখনও আসেনি।” সওয়াল-জবাবের মধ্যেই বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ ইঙ্গিত দিয়েছে, কোনওভাবে যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করতে পারলে ঠিক আছে। সেটা যদি সম্ভব না হয় তাহলে পুরো প্যানেল বাতিল করতে হবে।
গত বছর এপ্রিলে ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। ফলে রাতারাতি চাকরি হারান ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও চাকরিহারাদের একাংশও মামলা দায়ের করে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় হাই কোর্টের ওই নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়।
এখনই তাঁদের চাকরি বাতিল হচ্ছে না। সেই মামলার শুনানি ছিল আজ।