মফিজুল ইসলাম। কলকাতা সারাদিন।
ভারতের বুকে নয়, বিদেশের বুকে বসে ব্রিটিশ বিরোধী বিদেশী শক্তির সাহায্য নিয়ে ভারতের স্বাধীন করতে হবে ব্রিটিশ পরাধীনতার শৃংখল থেকে। সিঙ্গাপুর থেকে ব্রিটিশ শৃঙ্খলে আবদ্ধ পরাধীন ভারতের বাসিন্দাদের প্রত্যেক নাগরিকের উদ্দেশ্যে এমন আহ্বান জানিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
সেই স্বাধীনতা সংগ্রামের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল পূর্ব বঙ্গ তথা আজকের বাংলাদেশে বুকেও। সেই সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার বিপ্লবী। অকাতরে বিলিয়েছেন নিজের প্রাণ, বুকের তাজা রক্ত। ভারতবর্ষের সেই স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন সেসব বিপ্লবী। সুভাষচন্দ্র বসুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রাম পেয়েছিল এক নবচেতনা। কিন্তু এই লেখার প্রসঙ্গ নেতাজীর আদর্শ বা স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে নয় বরং সুভাষচন্দ্র বসুর ঢাকা সফর নিয়ে।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ঢাকায় এসেছিলেন একাধিকবার। ঢাকায় প্রথম নেতাজীর আগমন ঘটে ১৯২৪ সালে। এর আগের বছর তিনি সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি এবং একই সঙ্গে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই সফরে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু এসেছিলেন প্রখ্যাত রসায়নবিদ আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের সঙ্গে। তাকে ঢাকায় আনার ব্যবস্থা করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসুর ঘনিষ্ঠ ও পরবর্তীতে ফরওয়ার্ড ব্লকের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য আশরাফউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। ১৯২৪ সালে সেই সফরে তিনি সাধনা ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রখ্যাত আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বিশারদ এবং শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ যোগেশচন্দ্র ঘোষের আমন্ত্রণে পরিদর্শন করেছিলেন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাধনা ঔষধালয়। সাধনা ঔষধালয় পরিদর্শন শেষে সুভাসচন্দ্র বসু লিখেছিলেন, ‘আমি ঢাকার সাধনা ঔষধালয় পরিদর্শন করিয়াছি। এবং তাহাদের ঔষধ সুসংরক্ষণ, প্রস্তুত প্রণালী ও সৌষ্ঠবযুক্ত, কার্যসম্পাদন- ব্যবস্থা দেখিয়া মুগ্ধ হইয়াছি। সাধনার প্রস্তুত ঔষধাবলীর শাস্ত্রীয়তা ও অকৃত্রিমতা সম্বন্ধে আমি সম্পূর্ণরুপে নিঃসন্দেহ হইয়াছি। অধ্যক্ষ মহাশয়ের জনহৈতিষণার মনোভাবও বিশেষ প্রশংসার যোগ্য। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মপ্রচেষ্টাকে সমর্থন করিলে আয়ুর্বেদকেই সমর্থন করা হইবে। সত্যাসত্যই আয়ুর্বেদানুসারী বলিয়া সাধনার প্রস্তুত ঔষধাবলীর ব্যবহারের দ্বারা যে কেবল রোগ আরোগ্যের পক্ষে বাঞ্চিত লাভই হইবে তাহা নয়ম পরন্থু ঔষধগুলির এই প্রকার ফলপ্রসুশক্তি আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসকগনের জনপ্রিয়তাকেও বহুল পরিমাণে বর্ধিত করিবে। ঢাকার এই সর্বপ্রধান ঔষধালয়ের কর্তৃপক্ষ যেরূপ নিস্ঠা ও সফলতার সহিত আয়ুর্বেদের সেবা করিতেছেন তাহাতে আমি তাহাদিগকে অভিনন্দিত না করিয়া পারিলাম না।’
দ্বিতীয়বার নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ঢাকায় আসেন ১৯২৭ সালে ঢাকায় কংগ্রেস সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হলের ছাত্ররা তাকে হলে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। হলের ডাইনিংয়ে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তখন ঢাকায় ছিল তীব্র সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। সেই উত্তেজনা নিরসনে সুভাষচন্দ্র বসু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর জোর দিয়েছিলেন। মুসলিম হলের সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু-মুসলিম সব ধর্মের ছাত্ররাই। সেই সভায় সুভাষচন্দ্র বসুকে অভ্যর্থনা দিয়েছিলেন এ এফ এম আবদুল হক, আলী নূর, ওয়ালীউল্লাহ পাটোয়ারী সহ বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা। তারাই মূলত ছিলেন সেই সভার উদ্যোক্তা। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সেই সভার পূর্ণ বক্তব্য কোথাও পাওয়া যায় না। তবে পাওয়া যায় সেই সভা সম্পর্কে হল সংসদের রিপোর্ট। যেখানে লেখা ছিল ‘Mr. Bose in a very fine way exhorted us all to sink our infallibility for the good of the country.’
ঢাকায় সুভাষচন্দ্র বসুর তৃতীয়বার আগমন ঘটে ১৯২৮ সালের জানুয়ারিতে। তখন নারায়ণগঞ্জ ছিল ঢাকা জেলার একটি মহকুমা। নারায়ণগঞ্জের একটি সমাবেশে যোগ দিতে সুভাষচন্দ্র বসু এসেছিলেন। আর এর পিছন আরেকটি বড় কারণ ছিল সুভাসচন্দ্র বসুর একান্ত সহযোগী ছিলেন শান্তিময় গঙ্গোপাধ্যায়। শান্তিময় ছিলেন নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যার তামাকপট্টি মহল্লার সন্তান। স্কুলে ছাত্রনেতা হিসেবে ব্যাপক পরিচিত ছিল তার। ছাত্রাবস্থাতেই তিনি বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের সদস্য হয়েছিলেন। নেতাজীর সিক্রেট সার্ভিসের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে পেশোয়ার ও কাবুল থেকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে নতুন পর্যায়ে সংগঠিত করেছিলেন শান্তিময় গঙ্গোপাধ্যায়। শান্তিময় গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এক সমাবেশে বক্তব্য ও দিয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। সমাবেশের দিনটি ছিল ২১ জানুয়ারি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু চতুর্থবার ঢাকায় এসেছিলেন ১৯৩১ সালের ৭ নভেম্বর। ১৯৩১ সালের অক্টোবরে ঢাকার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর এলজি ডুর্নোকে গুলি করে হত্যা করে সরোজ গুহ ও রমেণ ভৌমিক নামে দুই বিপ্লবী পালিয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশ কোনভাবেই তাদের সন্ধান করে বের করতে পারল না। আর তাই ব্রিটিশ পুলিশের সমস্ত রাগ আর আক্রোশ গিয়ে পড়ল ঢাকাবাসীর ওপর।
বিপ্লবীদের ধরতে প্রথমে যেমন ব্যাপক অভিযান চালাল তেমনি অভিযানের নামে ঢাকাবাসীর উপর চালাল নির্মম নির্যাতন। সেই নির্যাতন থেকে রেহাই পেলেন না আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। সেই নির্যাতন খবর পৌঁছায় সুভাষচন্দ্র বসুর কানেও। এ সময় নেতাজী সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি ঢাকায় আসবেন। ইংরেজ প্রশাসন তার আসার খবর জানতে পেরে প্রথমে হুঁশিয়ারি দেয়। কিন্তু সেই সতর্কতার টিকিটিও আমলে নিলেন না নেতাজী। তিনি কলকাতা থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে স্টিমারযোগে রওয়ানা দিলেন ৭ নভেম্বর। তারা আসার খবরে সারা ঢাকা জেলায় সাড়া পড়ে গিয়েছিল। হাজার হাজার জনতা জড়ো হলো নারায়ণগঞ্জ স্টিমারঘাটে। সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য হাজারো উৎসাহী জনতা আসেন নারায়ণগঞ্জে। কিন্তু ইংরেজ প্রশাসন নেতাজীর ঢাকা জেলায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়। নারায়ণগঞ্জে স্টিমারেই নেতাজী সুভাসচন্দ্র বসু এই খবর জানতে পারেন। এর পরও তিনি স্টিমার থেকে নামেন। এরপর ব্রিটিশ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
৮ নভেম্বর কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা সেদিন শিরোনাম করে ‘সুভাষচন্দ্র বসু গ্রেপ্তার’। সংবাদের বিবরণে লেখা হয়েছিল ‘শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসুকে নারাণগঞ্জে গ্রেপ্তার করা হইয়াছে। এবং একখানা স্টিমারযোগে নেতাজিকে চাঁদপুরে পুলিশ নিয়ে যায়।’
নারায়ণগঞ্জের আজকের যে ঐতিহ্যবাহী ‘বোস কেবিন’ তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে নেতাজী সুভাসচন্দ্র বসুর নারায়ণগঞ্জ হয়ে ঢাকার সেই সফর। ১৯২১ সালে নৃপেন চন্দ্র (ভুলুবাবু নামে তিনি ছিলেন পরিচিত) নামের এক লোক নারায়ণগঞ্জ শহরের ধারে ফলপট্টি এলাকায় একটি চালাঘরে গড়ে তুলেছিলেন একটি চায়ের দোকান। এই নৃপেনের মূল বাড়ি নারায়ণগঞ্জে নয় বরং বিক্রমপুরে। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু যখন নারায়ণগঞ্জে স্টিমার থেকে নামলেন তাকে ইংরেজ পুলিশ গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। নৃপেণ বসু জানতেন নেতাজীর চা প্রীতির কথা। তিনি দুই কেটলি চা বানিয়ে নিয়ে যান থানায়। সেই চা পান করে দারুণ প্রশংসা করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। পরবর্তীতে যতবারই ঢাকায় এসেছিলেন ততবারই নারায়ণগঞ্জে নেমে তিনি ভুলুবাবুর সেই দোকানে গেছেন। সেই দোকান আজ ‘বোস কেবিন’।
সেদিন সুভাষচন্দ্র বসুকে পুলিশ থানায় নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে চাঁদপুরে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু অনড় সুভাষচন্দ্র বসু। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন ঢাকা পৌঁছাবেনই। চাঁদপুরে কিছু সময় আটকে ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। এরপর চাঁদপুর থেকে রাতের ট্রেনে আখাউড়া এবং ভৈরব হয়ে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ঢাকা শহর বলতে তখন আজকের পুরান ঢাকা। ফুলবাড়িয়া স্টেশন ছিল ঢাকার মূল স্টেশন। কিন্তু এর আগেই তেজগাঁও বিমানবন্দরে ফের সুভাসচন্দ্র বসুকে গ্রেপ্তার করে ইংরেজ প্রশাসন।
আনন্দবাজার পত্রিকায় ১২ নভেম্বর ১৯৩১ তারিখে প্রকাশিত হয়েছিল ‘ঢাকা হইতে ৪ মাইল দূরবর্তী তেজগাঁও রেল স্টেশনে অদ্য শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসু গ্রেপ্তার হইয়াছেন। মি. ডুর্নোর উপর আক্রমণের পর ঢাকায় পুলিসী জুলুম সম্পর্কে তদন্তের জন্য গঠিত বেসরকারী তদন্ত কমিটির কাজে যোগদানের জন্য তিনি ঢাকা প্রবেশের চেষ্টা করাতেই তাঁহাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মহাকুমা হাকিম শ্রীযুক্ত সুভাষবাবুকে ফিরিয়া যাইতে বলেন। কিন্তু তিনি তাহাতে অসম্মত হন। তাঁহাকে তখন শর্তবদ্ধভাবে জামীন দিতে চাওয়া হয়, এবং জেলা ত্যাগ করিয়া পুনরায় মামলার শুনানীর দিন আসিতে বলা হয়। সুভাষবাবু এই শর্তে জামীন লইতে সম্মত হন না—তখন তাঁহাকে মোটর যোগে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে পাঠাইয়া দেওয়া হয়।’ পরবর্তীতে কোর্টের মাধ্যমে জামিন পেয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে সেই সফরে সুভাষচন্দ্র বসু গিয়েছিলেন বাড়ি বাড়ি। পুলিশি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন করেছিলেন তিনি। সেই সফরে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, এবং জামালপুরে সফর করেছিলেন তিনি।
১৯৩৬ সালে ঢাকা পৌরসভার লক্ষ্মীবাজার এবং বাংলাবাজার সড়কের নামকরণ করা হয় সুভাষ বোস অ্যাভিনিউ।
পঞ্চমবার ঢাকায় সুভাষচন্দ্র বসু এসেছিলেন ১৯৩৯ সালে। এটিই ছিল নেতাজীর সর্বশেষ সফর। আগের বছর শেষ দিকে কংগ্রেসের নির্বাচনে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হয়েও মহাত্মা গান্ধী ও জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে মতানৈক্যের কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেই ১৯৩৯ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় আসেন সুভাষচন্দ্র বসু। তখন আজকের নারায়ণগঞ্জের টানবাজার পার্কটি ছিল বিশাল ময়দান। এখানেই সংবর্ধনা দেয়া হয় নেতাজীকে। সুসজ্জিত ঘোড়ারগাড়িতে উঠিয়ে তাকে নারায়ণগঞ্জ শহর প্রদক্ষিণ করানো হয়েছিল। টমটমের পিছনে ছিল উৎসাহী জনতা ও নেতাকর্মীদের শোভাযাত্রা। নারায়ণগঞ্জ মহকুমা সফর শেষে ঢাকা শহরে এসেছিলেন নেতাজী সুভাসচন্দ্র বসু।
সেই সফরে ঢাকার শক্তি ঔষধালয় ও পরিদর্শন করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। শক্তি ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মথুরামোহন চক্রবর্তী মূলত মথুর বাবু নামে পরিচিত ছিলেন। শক্তি ঔষধালয়ে নেতাজীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল।
শক্তি ঔষধালয়ে তার সংবর্ধনা ও পরিদর্শনের চিত্র পাওয়া যায় প্রখ্যাত সাংবাদিক ও বিপ্লবী নির্মল সেনের লেখা আত্মজীবনীতে। সেখানে নির্মল সেন লিখেছিলেন, ‘আমার বাবা শিক্ষক ছিলেন। বইও লিখতেন। হঠাৎ বই লেখার জন্যে তিনি ১৯৩৯ সালে ঢাকায় আসেন। আমিও ঢাকায় এলাম। তখন দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছিল যুদ্ধ নিয়ে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সাথে মহাত্মা গান্ধী ও জওহরলাল নেহেরুর মতৈক্য হচ্ছে না। এ সময় সুভাষচন্দ্র বসু কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েও সভাপতির পদ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করে সুভাষচন্দ্র বসু ঢাকায় আসেন। আমাদের বাসা ছিল তৎকালীন দয়াগঞ্জ রোডে। ১৩ নম্বর বাড়িতে আমরা থাকতাম। একদিন দেখলাম সুভাষচন্দ্র বসুর মিছিল যাচ্ছে। তিনি যাচ্ছিলেন শক্তি ঔষধালয় দেখতে। আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে তিনি মিছিল করে গেলেন।’