শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
বঙ্গ বিজেপির মিছিলে ফের উত্তাল হল কলকাতার রাজপথ। নারী নিরাপত্তার দাবিতেই মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে বিজেপির মিছিল আটকানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের সঙ্গে কথাকাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
নারী নিরাপত্তার দাবিতে আজ বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা শহরের রাজপথে মিছিল করে। কলেজ স্কোয়ার থেকে বৌ-বাজার পর্যন্ত এই মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে রেস্তোরাঁ এবং বার-রেস্তোরাঁয় মহিলা কর্মীদের নিয়োগ বন্ধের দাবি তোলা হয়। মিছিলটি ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং পুলিশি বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগ ওঠে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল মিছিলে অংশ নেন। সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ছিল, কিন্তু পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং মহিলাদের গায়ে হাত দিয়ে উত্তেজনা তৈরি করার চেষ্টা করেছে।” পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ছিল।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ছিল। সেই আন্দোলনে লাঠিচার্জ করে, ধাক্কাধাক্কি করে মহিলাদের গায়ে হাত দিয়ে অযথা উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করবেন না। আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি। আমরা নরেন্দ্র মোদীর ভারতীয় জনতা পার্টি। চোর তৃণমূল কংগ্রেস নই যে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করতে যাব। একটা পুরনো আইন ছিল, যেখানে বার-রেস্তোরাঁয় কাজ করার বাধা ছিল। তৃণমূল সেই আইনের পরিবর্তন এনেছে। আমরা নারী-পুরুষ সমান মনে করি। দু’জনেরই কাজ করার সমান অধিকার রয়েছে। তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু যেখানে একজন শিক্ষিত ডাক্তার ডিউটির সময় ধর্ষণ এবং খুন হয়ে যান, সেখানে কোন সাহসে একজন মেয়ের বাড়ির লোক তাঁকে রেস্তোরাঁ-বারে কাজ করতে বলবেন? কে দেবে সুরক্ষা? পুলিশ গ্যারান্টি দেবে তো?”
অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা যখন বিধানসভা ভোটে আসনের টার্গেট ক্রমশ কমাচ্ছেন, সে বিষয়েও এদিন মুখ খুলেছেন সুকান্ত। ১৮০ আসনের টার্গেট থেকে শুভেন্দু ১৫০-য় নেমে এসেছেন। সুকান্তর বক্তব্য, “২৯৪টি বিধানসভাতেই সমানভাবে লড়বে বিজেপি। এরকম কোনও সংখ্যা আমরা আলাদাভাবে করি না।”