রাহুল সিংহ মজুমদার। কলকাতা সারাদিন।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের উদ্যোগে স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। তবে এই মিটার বসানোর পর থেকেই অস্বাভাবিক হারে রিচার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলছেন বহু গ্রাহক। সোমবার এমনই অভিযোগ নিয়ে নদিয়ার শান্তিপুরে বিদ্যুৎ দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় গ্রাহকরা।
একাধিক গ্রাহকের অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরের কোনও রকম সুস্পষ্ট নির্দেশিকা ছাড়াই তাঁদের বাড়িতে পুরনো ইলেকট্রিক মিটার পাল্টে নতুন স্মার্ট মিটার লাগানো হয়েছে। নতুন এই মিটারে বিদ্যুৎ বিল কীভাবে আসছে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই। গ্রাহকদের দাবি, এই সমস্যার কথা একাধিকবার দফতরে জানানো হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি। অবশেষে বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা শান্তিপুর এলাকা জুড়ে গত কয়েক মাস ধরে বিদ্যুৎ মিটার পরিবর্তনের কাজ চলছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, এই বিষয়ে বিদ্যুৎ দফতরের তরফ থেকে তাঁদের আগে কোনও রকম তথ্য বা নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। হঠাৎ করেই বাড়িতে কয়েকজন কর্মী এসে পুরনো মিটার খুলে নতুন স্মার্ট মিটার বসিয়ে যান। এর পরই শুরু হয় বিপত্তি।
স্মার্ট মিটারের নিয়ম অনুযায়ী, মোবাইল রিচার্জের মতো আগে টাকা রিচার্জ করতে হয়। ন্যূনতম রিচার্জের পরিমাণ ধার্য করা হয়েছে ১০০ টাকা। কিন্তু গ্রাহকদের অভিযোগ, সেই ১০০ টাকা রিচার্জ করার পরেও অনেক সময় দেখা যাচ্ছে এক ঘণ্টার মধ্যেই রিচার্জ শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেকেরই দাবি, তাঁরা কী পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন এবং কোন হিসাবে টাকা কাটা হচ্ছে, তা একেবারেই বোধগম্য হচ্ছে না। বিক্ষোভকারী গ্রাহকদের মূল দাবি, অবিলম্বে পুরনো যে ইলেকট্রিক মিটারগুলি ছিল, সেগুলিকে পুনরায় চালু করতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে শান্তিপুর বিদ্যুৎ স্টেশনের ম্যানেজার মানিক তপন কুমার সাঁতরা বলেন, ‘সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ দফতরের নিয়ম মেনেই মিটার পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে গ্রাহকরা যে সমস্যার কথা বলছেন, সেই বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছি। তাঁরা যে সিদ্ধান্ত এবং যে নির্দেশিকা জারি করবেন, সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’ বিদ্যুৎ দফতর আগামী দিনে গ্রাহকদের সঙ্গে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করছে বলে তিনি জানান।