সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
নবান্ন অভিযানের আগেরদিন বিকেলে কলকাতা প্রেস ক্লাবে (Kolkata Press Club) সাংবাদিক বৈঠকের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ নামে ওই সংগঠন।
মঙ্গলবারের কর্মসূচির রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত জানানো এবং মিছিলকে রাজনীতিকরণ থেকে দূরে রাখার বার্তা দিতেই এই সম্মেলন। কিন্তু অদ্ভুতভাবে সাংবাদিকদের কিছু প্রশ্ন শুনে মেজাজ হারালেন সংগঠনের এক সদস্য শুভঙ্কর হালদার।
তাঁকে আরএসএস (RSS) নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি বলে ফেললেন, ”আমি গর্বিত যে আমি সংঘের একজন সক্রিয় সদস্য। তবে তার সঙ্গে এই ছাত্রসমাজের কোনও যোগ নেই।”
রীতিমতো চড়া গলায় তাঁর অভিযোগ, ”বিরোধী রাজনীতি করলেই জেলে থাকতে হবে। আমি তিনবার জেলে গিয়েছি। আর যাঁরা আমার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন, তাঁরা ৩৭৬ ধারায় মামলার প্রমাণ দেখাতে পারলে, আমিও দেখে নেব।” উল্লেখ্য, এই শুভঙ্কর হালদারের বিরুদ্ধেই নবদ্বীপ থানায় শ্লীলতাহানির মামলা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল
প্রেস ক্লাবের বৈঠকে ছাত্রসমাজের তরফে সায়ন লাহিড়ি বারবার অরাজনৈতিক আন্দোলনের কথা বলছিলেন। তাঁর কথায়, ”আমরা চাই না, কোনও রাজনৈতিক দলের কোনও নেতা মিছিলের অগ্রভাগে কোনও ঝান্ডা নিয়ে থাকুন। এটা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক প্রতিবাদ। আমরা দুপুর ২টোয় নবান্নের কাছে জমায়েত করব। তবে কেউ আক্রমণ বা অশান্তি করবেন না নবান্নে। শুধু প্রশাসনিক ভবন ঘিরে ধরে দুটি স্লোগান তুলবেন – দাবি এক, দফা এক/মমতার পদত্যাগ। আর উই ওয়ান্ট জাস্টিস। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চাই। বোঝাতে চাই যে টিয়ার গ্যাস, জলকামান ব্যবহার না করার মতো এরকম আন্দোলনও করা যায়। পুলিশকেও অনুরোধ, আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে দিন। ”
এর মাঝেই পরিচয় সংক্রান্ত প্রশ্ন শুনে বারবার বলছিলেন, তিনি ছাত্র ছাড়া কিছু নন। কিন্তু পরে প্রকাশ্য়ে বলে ফেলেন যে যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার (Yuva Morcha) সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে।