সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়ার ডাক্তারকে ধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনায় (RG Kar Hospital Doctor Death) তোলপাড় দেশ। বাংলা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। একযোগে ঘটনার বিচার চাইছেন দেশের সমস্ত মানুষ। আর এর মধ্যেই ফের ধর্ষণের ঘটনা। ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ।
ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ (Uttar Pradesh) । ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনাও। যদিও দ্রুত ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা বাড়িতে একাই ছিল। আর সেই সুযোগে বাড়িতে ঢোকে ধৃত ওই ব্যক্তি।
শুধু তাই নয়, ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। যদিও পরিবারে দাবি, ঘটনার সঙ্গে একজন নয়, অন্তত তিনজন জড়িত। নেশা জাতীয় কিছু জিনিস খাইয়ে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পরিবারের। ইতিমধ্যে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের তরফে।
অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। শুধু তাই নয়, দফায় দফায় ধৃত ওই ব্যক্তিকেও জেরা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ব্যক্তি ওই এলাকাতে স্থানীয় একটি কারখানাতেই কাজ করত। ফলে ওই নাবালিকার উপর নজর ছিল বলে জানতে পেরেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, বাড়িতে যে কেউ ঘটনার সময় ছিল না সেদিকেও অভিযুক্ত নজর রেখেছিল বলেও পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন।
ঘটনার পরে গাজিয়াবাদের লিঙ্ক রোড পুলিশ স্টেশনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। শুধু তাই নয়, ব্যাপক উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার প্রতিবাদে ব্যাপক ভাঙচুরও শুরু হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক বাইক এবং রিক্সাতে। স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত। কিন্তু একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
অবিলম্বে সবাইকে গ্রেফতার করে ফাঁসির সাজার ব্যবস্থা করতে হবে বলে দাবি বিওক্ষভকারীদের। ঘটনার জেরে ব্যাপক নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে গাজিয়াবাদের বিভিন্ন জায়গাত। বলে রাখা প্রয়োজন, আরজি কর কাণ্ডের পরেই ধর্ষণ রোধে কড়া আইন আনার দাবি উঠছে সর্বস্তরে।