সুমনা মিশ্র। কলকাতা সারাদিন।
মহারাষ্ট্রের বদলাপুরে চার বছর বয়সি দুই স্কুল ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল পুরো এলাকা। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রেল ও রাস্তা অবরোধ করেছিলেন স্থানীয়রা। পুলিসের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ বেঁধেছিল আন্দোলনকারীর। এবার সেই ঘটনায় অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডেকে এনকাউন্টারে মারল পুলিস।
পুলিস জানিয়েছে, বদলাপুর থেকে তালজা জেলে হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল শিন্ডেকে। তার প্রথম স্ত্রীর একটি নতুন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে সেখানে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হত। সোমবার সাড়ে ছ’টা নাগাদ মুমব্রা বাইপাসের কাছে শিন্ডে একজন কনস্টেবলের কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নিয়ে গুলি ছুড়তে থাকে। তাতে ওই কনস্টেবল আহত হয়ে যায়। এরপরই অন্য এক পুলিস অফিসার শিন্ডেকে গুলি করে। তাকে তারপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে সে মারা যায়। এই ঘটনার পর উল্লাসে ফেটে পড়েছে এলাকাবাসী।
স্কুলের ওয়াশরুমে একজন ৪ বছরের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গত ১৭ অগাস্ট শিন্ডেকে গ্রেফতার করে পুলিস। বদলাপুরে দুই শিশুর যৌন নিপীড়নের মামলার অভিযুক্তের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ঘরোয়া সমস্যা ছিল। সে চলে যাওরার পর চার মাস আগে তার আবার বিয়ে করে অক্ষয়। ২৩ বছরের অক্ষয় শিন্ডে গত ১ অগস্ট ওই সাফাইকর্মীকে স্কুলের কাজে নিয়োগ করা হয়। এরপরই ১৩ অগাস্ট ঘটনাটি ঘটে ছাত্রীদের শৌচালয়ে ঘটনাটি ঘটে। তদন্তে উঠে এসেছে, ছাত্রীদের শৌচালয়ে কোনো মহিলা অ্যাটেনডেন্ট ছিলেন না।
সেই মুহূর্তে কলকাতায় চিকিৎসকের উপর ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার ফলে, এই ঘটনায় ব্যপক আকারের আন্দোলন শুরু হয় থানেজুড়ে। বম্বে হাইকোর্টে এই মামলা চলাকালীন তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় পুলিসকে। মহারাষ্ট্র সরকার এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে। সুত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় তদন্তকারী দলের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ ছিল। ওই স্কুলকেও তদন্তের আওতায় আনা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। স্কুলটিতে শিশু সুরক্ষা নিয়ে যথেষ্ট পরিকাঠামো ছিলনা বলে জানা গিয়েছে।